এনসিটিবির নকল বই ছাপানো চক্রের ৫ সদস্য আটক

নকল বই ছাপানো চক্রের ৫ সদস্য আটক
নকল বই ছাপানো চক্রের ৫ সদস্য আটক  © সংগৃহীত

রাজধানী পুরান ঢাকার বাংলাবাজার থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অনুমোদিত পাঠ্যবইয়ের নকল ছাপাখানা উদ্ধার করেছে পুলিশ। অবৈধ এই ছাপাখানা থেকে চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) পুরান ঢাকার বাংলাবাজার এলাকা সূত্রাপুরের ডালপট্টি মোড়ের হেমন্ত দাস রোড এলাকার একটি বাইন্ডিং কারখানা থেকে এইচএসসির বোর্ড বই জব্দ করা হয়।

পরে পাটুয়াটুলীর চশমার গলির পেছনের মিম প্রেসে অভিযান চালিয়ে আরও ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। উদ্ধাররের সময় পুলিশ জানায়, মিম প্রেসে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এনসিটিবির বই ছাপানো হচ্ছিলো। আমাদের একটি টিম অনুসন্ধান করে। তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার এসআই হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘সূত্রাপুর থানার ডালপট্টি মোড় এলাকার একটি বাইন্ডিং কারখানা থেকে অবৈধভাবে বোর্ড বই বাইন্ডিংয়ের অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়। পরে তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে পাটুয়াটুলীর চশমার গলির পেছনের মিম প্রেসে গিয়ে আরও ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। সেখানে মালিককে পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের পর বাকিটা জানা যাবে।’

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল ভর্তিতে এবার কতটা প্রভাব ফেলবে জিপিএ-৫?

এদিন উদ্ধার কার্যের সময় উপস্থিত ছিলেন রেডিয়াম পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী গাজী নাসির। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এভাবে অবৈধভাবে বই ছাপা হতে থাকলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতি হবে। এমন ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।’

এ বিষয়ে অয়ন করপোরেশনের প্রোপাইটার শেখ আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়গুলো বন্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়া উচিত। এটা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ক্ষতি, দেশের জন্য ক্ষতি।’

আহসান পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী মোঃ জায়েদ বলেন, ‘আমরা চাই এধরনের ঘটনা আর না ঘটুক।’

এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সম্পাদক ড. মোঃ ছাইদুর রহমান বলেন, ‘এইচএসসির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ৩টি বই–সাহিত্যপাঠ, সহপাঠ ও ইংলিশ ফর টুডে বই অবৈধভাবে ছাপানো হচ্ছিল, একটি বাইন্ডিং কারখানায় এটা ধরা পড়ে। তথ্য পেয়ে আমরা এখানে এসেছি। বাকিটা প্রক্রিয়া অনুযায়ী হবে।’

অবৈধভাবে বই ছাপানোর বিষয়ে জানতে মিম প্রিন্টার্সের মালিক আব্দুর রাজ্জাককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সার্বিক বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, মোবাইল কোর্টের অধীনে ডিএমপির স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট কাল উপস্থাপন করা হবে আসামীদের। মিম প্রিন্ট্রার্সের মালিককে পাওয়া যায় নি পলাতক আছে। সেখানে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার বই ছাপানোর কাজ চলছিলো। এটা তদন্ত হবে বিস্তরভাবে। 


সর্বশেষ সংবাদ