মাগুরার শিশুটির রেশ না কাটতেই এবার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৫০ AM , আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:০৬ AM

মাগুরায় ৮ বছরের শিশুর ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় যখন পুরো দেশ শোকে মুহ্যমান, তখনই সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শিশুটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে, মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াও চলছে।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, রায়গঞ্জ উপজেলার নাড়ুয়া গ্রামে গত রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে এক স্কুলছাত্র ওই ছাত্রীকে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা হলেও ব্যর্থ হয় পরিবার। বুধবার (১৩ মার্চ) ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
তিনি বলেন, পুলিশের প্রচেষ্টায় শিশুটিকে বুধবার (১২ মার্চ) রাত ১টার দিকে মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ভুক্তভোগীর বাবা থানায় এসে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযুক্ত স্কুলছাত্রকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে।
এদিকে, শিশুটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. উম্মে রুমান লীমা বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। বর্তমানে শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ রয়েছে এবং তার চিকিৎসা চলছে।
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. উম্মে রুমান লীমা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের ধারণা পাওয়া গেছে। বর্তমানে শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ আছে। মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এর আগে গত ৫ মার্চ ৮ বছরের শিশু আছিয়া মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।