বিপিএলের ভাবমূর্তি নষ্টে বিসিবির দায় দেখছেন চিটাগাং কিংস মালিক

সামির কাদের চৌধুরী
সামির কাদের চৌধুরী   © সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো ৪৬ কোটি টাকা পাওনার লিগ্যাল নোটিশকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিপিএলের ফ্র‍্যাঞ্চাইজি চিটাগাং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্য দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থাটিকেই দায়ী করছেন তিনি।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর একটি রেস্তোরায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সামির।

দীর্ঘ বিরতির পর বিপিএলের ১১তম আসরে ফের নাম লিখিয়েছিল সামির কাদের চৌধুরীর মালিকাধীন চিটাগাং কিংস। যদিও ফ্র‍্যাঞ্চাইজিটির বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক বকেয়া সংক্রান্ত অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। এরপরও বিসিবির সঙ্গে সমঝোতার মধ্য দিয়ে ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টে আবারও দল পেয়েছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু সবশেষ বিপিএলে নতুন করে পারিশ্রমিক জটিলতায় জড়ায় চিটাগাং কিংস।

এ নিয়ে বিসিবির কাছে পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ করেন কিংসের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং উপদেষ্টাসহ অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে নানান সমালোচনায়ও হয়েছে। অবশ্য পারিশ্রমিক বকেয়া থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেননি সামির। তবে এর জন্য বিসিবিকেই দায়ী করছেন তিনি।

সামিরের দাবি, বিপিএলের ১১তম আসরের লভ্যাংশের কিছু অংশ এখনও বিসিবির কাছে পাবেন তারা। সেখান থেকেই বাকি পেমেন্টগুলো করে দিতে বিসিবির কাছে গেল ফেব্রুয়ারিতে আহ্বান জানিয়েছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু এখনও সেটা হয়নি কেন, তা জানেন না তিনি।

এদিকে দলটির মেন্টর সাবেক পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদিও পুরো পেমেন্ট না পাওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। যদিও দুইপক্ষের মধ্যে এরই মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলেই দাবি করলেন সামির। তবে নিজের কাঁধেও দায় নিলেন তিনি।

এ নিয়ে সামির বললেন, 'বিপিএলের রেভিনিউ শেয়ার ৬০-৭০% পেয়েছি, বাকিটা থেকে বিসিবির পেমেন্ট করার কথা, কী পরিমাণ তারা করেছে; সেটা জেনে বিস্তারিত বলতে পারবো। আফ্রিদির পেমেন্ট বাকি আছে, এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার, শুরুতে পেমেন্ট করেছি, পরে সে চলে যায়, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।'

অন্যদিকে চিটাগাং কিংসের পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা আগেও ছিল। তবে গেল আসরের নাম লেখানোর আগেই এ নিয়ে বিসিবির সঙ্গে মধ্যস্থতা হয়েছিল বলে জানান সামির৷ তবে সে সময়ে সাড়ে তিন কোটি টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও হুট করে কীভাবে ৪৬ কোটি টাকা হলো, সে প্রসঙ্গে কিছুই বলতে পারছেন না সামির। বিসিবির কাছে চুক্তির কাগজপত্র চেয়েও পাচ্ছেন না বলে দাবি তার। সামির এও দাবি করেন, বিসিবি পরিচালকরাও নাকি এই টাকার অ্যামাউন্ট সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছু জানেন না। তবে এরই মধ্যে বিসিবির সঙ্গে বসার প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন তিনি।

সামির বললেন, ২০১৮ সালে বিসিবি বকেয়ার বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে স্টে-অর্ডার নিয়েছিল, ফারুক আহমেদের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয় যে সাড়ে ৩ কোটি টাকা দিতে হবে, এখন সেটা ৪৬ কোটি কীভাবে হলো; এটা বিসিবিও জানে না, তারা আমার সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছে।'

বিপিএলের ভাবমূর্তি নষ্টের পেছনেও ক্রিকেট বোর্ডের দায় দেখছেন চিটাগাং কিংসের মালিক। তার ভাষ্যমতে, বিপিএলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বিসিবি, স্টে-অর্ডারের মাঝে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে আদালত অবমাননা করেছে, চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করতে বোর্ড থেকে এতদিন পর আগ্রহ দেখিয়েছে, তাতে আমি খুশি।


সর্বশেষ সংবাদ