আইপিএলে প্রথম ট্রফির অপেক্ষা ঘুচবে কার?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:২৬ PM , আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৭:০৯ PM
নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ১০ দলের জমজমাট লড়াই শেষে শিরোপা ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষায় পাঞ্জাব কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এবার প্রথমবারের মত যেকোনো একটি দল আইপিএলের শিরোপা উল্লাস করবে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের ট্রফিটা রীতিমত হন্যে হয়ে খুঁজছে আরসিবি। শিরোপার অপেক্ষায় বিরাট কোহলিও। আইপিএলের সবক’টি আসরেই আরসিবির জার্সিতে খেলেছেন তিনি। কিন্তু দল কিংবা কোহলি কেউই শিরোপাটা স্পর্শ করতে পারেননি। যদিও এরই মধ্যে তিনবার ফাইনাল খেলেছে বেঙ্গালুরু। কিন্তু প্রতিবারই আক্ষেপের গল্প লিখেছে তারা। এবার চতুর্থবারের মত শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে কোহলিরা।
ফাইনাল কিংবা আগের মৌসুমে বোলিং ইউনিটই দলটিকে বেশি ভুগিয়েছে। তবে এবার জশ হ্যাজলউড দলটির পেস ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১১ ম্যাচে এরই মধ্যে ২১ উইকেট শিকার করে আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকার তিনি। তাই ফাইনালেও বড় ‘ইমপ্যাক্ট’ হতে যাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে ব্যাট হাতে বরাবরই আস্থার নাম কিং কোহলি।
এছাড়া মিডল-অর্ডারে রজত পতিদার, জিতেশ শর্মারা শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামলে নিতে বেশ পটু। মারকাটারি ক্যামিও’তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মত সামর্থ্য রয়েছে লিয়াম লিভিংস্টোন-রোমারিও শেফার্ডদের।
তবে পাঞ্জাব-ও ছেড়ে কথা বলবে না। ২০১৪ সালে একবারই ফাইনাল খেলেছিল প্রীতি জিনতার দল। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইর্ডাসের কাছে শিরোপার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়েছিল তারা। এবার দ্বিতীয়বারের মত ফাইনাল খেলবে তারা। আসরজুড়ে দুর্দান্ত দলটির নেতৃত্বে আছেন শ্রেয়াস আইয়ার। সবশেষ আসরে কেকেআরকে শিরোপা উৎসবে রঙিন করেছেন তিনি।
দল পাল্টালেও চরিত্র বদলায়নি তার। চলতি আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৪১ বলে ৮৭ রানের ‘অতিমানবীয়’ এক ইনিংসে দলকে ফাইনালে টেনে তুলেন। দলটির সবচেয়ে বড় শক্তি ‘ওপেনিং জুটি’। প্রভসিমরান সিং এবং প্রিয়ানশ আরিয়া রীতিমত ওপেনিং জুটিতে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। এই জুটির ওপর ভিত্তি করেই নতুন কোনো গল্প লিখতে চাইবে পাঞ্জাব।
মিডল-অর্ডারে আইয়ারের পাশাপাশি স্টয়নিস-শশাঙ্করা এরই মধ্যে হাল ধরার চ্যাপ্টারে ‘পাস’ মার্ক পেয়েছেন। বোলিং ইউনিটও বিশ্বমানের। আর মাঠের বাইরে ‘মাইন্ড গেম’ খেলছেন বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ান রিকি পন্টিং।
শক্তি-সামর্থ্য কিংবা ভাগ্য চক্রের আর্শিবাদে শেষ হাসি কে হাসবে, সেটা বলা মুশকিল। তবে, একটি দল যখন শিরোপার সোনালী আবহে চুম্মন করবে, আরেকটি দল তখন আবারও নতুন করে চোখের কোনো এক কোণে বেদনার গল্প লুকাবে। সবমিলিয়ে জমজমাট এক লড়াই দেখার অপেক্ষায় ক্রীড়াপ্রেমীরা। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।