ভোলায় সিএনজি-নসিমনের সংঘর্ষে প্রাণ গেল শিশুর

নসিমনের সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা
নসিমনের সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা  © টিডিসি

ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনার মিছিল যেন থামছেই না। এবার বেপরোয়া গতির সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আব্দুল্লাহ নামে মাত্র ৪ মাস বয়সী এক শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা কুলসুম বেগমসহ অন্তত আরও চারজন যাত্রী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা-ইলিশা আঞ্চলিক সড়কের বাপ্তা ভোটেরঘর এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত আব্দুল্লাহ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের মঞ্জুর আলম ও কুলসুম দম্পতির একমাত্র সন্তান।

নিহত শিশুটির খালা রাবেয়া বেগম জানান, মঙ্গলবার সকালে শিশুটির মা-বাবাসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য চরফ্যাশন থেকে একটি সিএনজিতে করে ভোলার পরাণগঞ্জ বাজারের উদ্দেশে রওনা হন। বেলা দেড়টার দিকে সিএনজিটি ভোটেরঘর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি নসিমনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের তীব্রতায় যাত্রীরা সড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়।

তিনি আরও জানান, সিএনজি চালক অত্যন্ত বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই সিএনজি চালক পালিয়ে যায়। আহতদের মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় পথচারীরা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভোলা-ইলিশা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত সিএনজিটি ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে। তবে নসিমন ও সিএনজি চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোলার সড়কগুলো এখন কার্যত ঘাতক সিএনজির দখলে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, এর মাত্র দুই দিন আগেই গত ২৮ ডিসেম্বর ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীসহ তিনজন নিহত হন। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বেপরোয়া সিএনজি কেড়ে নিল চার মাসের এক নিষ্পাপ শিশুর প্রাণ।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!