দিনাজপুরে যে বাড়িতে শৈশব-কৈশোর কেটেছে খালেদা জিয়ার
- দিনাজপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৫ PM
দিনাজপুরে অবস্থিত যে বাড়িতে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছেন, সেটি আজও স্মৃতিবিজড়িত হয়ে আছে। তিনি দিনাজপুরেরই মেয়ে। পরিবারের সবাই আদর করে তাকে ‘পুতুল’ নামে ডাকতেন। দিনাজপুর পৌর শহরের বালুবাড়ি এলাকায় অবস্থিত বাড়িটির নাম ‘তৈয়বা ভিলা’, যা তার মায়ের নামে নামকরণ করা।
১৯৫৪ সালে বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং ১৯৬০ সালে একই বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক (এসএসসি) পাস করেন। বর্তমানে তৈয়বা ভিলাটি ‘ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও দ্বিতীয় তলায় খালেদা জিয়া ও তার বাবা-মায়ের ব্যবহৃত কক্ষগুলো সংরক্ষিত অবস্থায় তালাবদ্ধ রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটির সংরক্ষিত কক্ষগুলোর দেখভাল করছেন কারিনা বেওয়া। প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, এই বাড়ির সঙ্গে খালেদা জিয়ার শৈশবের নানা স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। তার মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এ সময় হাসপাতালে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান, নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, ছোট পুত্রবধূ শার্মিলা রহমান সিঁথি, ছোট ভাই শামীম এসকান্দারসহ পরিবার ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সব চিকিৎসক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে। তাকে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পাশে শায়িত করা হবে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। পাশাপাশি কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাও ছিল খালেদা জিয়ার।