ভোলায় মোটরসাইকেলচালককে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ
চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ  © সংগৃহীত

ভোলার চরফ্যাশনে মোটরসাইকেল ছিনতাইকালে হত্যা করা হয় চালক কালুকে। হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি মিন্টিজ ওরফে মো. শাজাহানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডাদেশ দেন চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ।

১০ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত মঙ্গলবার রায় দেন। এদিকে আসামিদের মধ্যে মিলন ব্যতীত অপর চারজন পলাতক ছিলেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকায় মো. মিলন, মো. জামাল, মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. ফিরোজকে খালাস দেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে এই আদেশ দেন চরফ্যাশন অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইন।

আদেশে বলা হয়, ২০১২ সালের ১৯ ফেরুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে আলাউদ্দিন গাছির মোটরসাইকেলে চরে কালু  দুলারহাট বাজার থেকে চরফ্যাশন যাচ্ছিলেন। এর পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ও নিখোঁজ থাকেন। পরদিন সকালে চরফ্যাশন উপজেলার আলীগাও ২ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক নূরেআলম পাটোয়ারীর বাড়ির পশ্চিম পাশে কালুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
 
তাতে উল্লেখ করা হয় মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করতে পথ রোধ করে আসামী মো.মিলন, মো. জামাল , মো.ফিরোজ, মো.শাহাবুদ্দিন ও মো. মিন্টিজ ওরফে মো. শাজাহান একযোগে গলায় গামছা পেচিয়ে কালুকে হত্যা করেন। ১০ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত মঙ্গলবার রায় দেন। এদিকে আসামিদের মধ্যে মিলন ব্যতিত অপর ৪ জন পলাতক ছিলেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকায় মো. মিলন , মো. জামাল, মো. শাহাবুদ্দিন ও মো.ফিরোজকে খালাস দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মো. হযরত আলী হিরণ ও আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট এএইচ এম জাবেদ করিম মামলা পরিচালনা করেন। পিপি হযরত আলী জানান,ন্যায়ের ভিত্তিতেই সাজা দেওয়া হয়েছে। এতে নিহত পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলো।

এদিকে ‎রায় ঘোষণার পর বিচারক মো. শওকত হোসাইনকে আদালতের আইনজীবী ও স্থানীয় জনগণ ধন্যবাদ জানান। তাদের মতে, দীর্ঘদিনের আলোচিত এ মামলায় আদালত সাহসী ও সঠিক রায় দিয়েছেন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আদালত ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হযরত আলী হিরণ‎ ভূমিকার প্রশংসা করেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!