বগুড়ায় জমে উঠেছে ঈদবাজার
- বগুড়া প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৭ PM , আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৫১ PM

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ক্রেতারা ভিড় করছেন বিভিন্ন দোকানে, মার্কেটে আর ফুটপাতে। পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, জুতা, গয়না, বাহারি রঙিন পোশাক আর প্রসাধনীর দোকানগুলোয় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ঈদের বাজার।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বগুড়া ও শেরপুরের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, বগুড়া শহরের নিউমার্কেট, আলামিন কমপ্লেক্স, শরিফ উদ্দিন মার্কেট, রানার প্লাজা, পুলিশ প্লাজা, চুরিপট্টি, জলেশ্বরীতলা ও হকার্স মার্কেট ও প্রধান সড়কের ফুটপাতে ও ভ্যানে চলছে বেচাকেনা।
এদিকে থেমে নেই শেরপুর শহরের শেরশাহ নিউমার্কেট, উত্তরা প্লাজা, ডক্টরস কমপ্লেক্স, জাহানারা কমপ্লেক্স, শেরপুর প্লাজা, করতোয়া মার্কেটের বিপণি বিতান আর আশপাশের ছোট-বড় দোকানগুলোয় নারী- শিশু ও যুবকদের কেনাকাটা।
ঈদকে সামনে রেখে থ্রি-পিস, বুটিকসের বিভিন্ন ধরনের নতুন কালেকশন এবং পাকিস্তানি উন্নতমানের থ্রি-পিসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ১০০০ থেকে শুরু করে ৭০০০ টাকা মূল্যের থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে। ফুটপাতের মৌসুমি ও ভ্রাম্যমাণ দোকানে ৩০০ টাকায় নতুন প্যান্ট, ৪৫০ টাকায় শার্ট ও ২৫০ টাকায় মিলছে স্বল্পমূল্যে নতুন জামা-কাপড়।
আরও পড়ুন: সচিবালয় এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা
শিশুদের পোশাকের সমাহার এবার বেশ নজরকাড়া শর্টস ও টি-শার্ট ৩৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়, ফ্রক ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, বারবি গ্রাউন ১ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার টাকায়, সেলোয়ার-কামিজ ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় ও স্যুট বা কুর্তা পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা বাজেটেই। বগুড়া শহরের সাতমাথা থেকে রানার প্লাজার মাঝখানের রাস্তার দুই পাশের ভ্যানগুলোয় ২০০-৫০০-তেই মিলছে নানা পোশাক।
ভ্রাম্যমাণ দোকানে কাপড় কিনতে এসে এক ক্রেতা বলেন, ‘ভাই, গত বছর এই ধরনের কাপড় যে দামে কিনেছি, এবার তার চেয়ে অনেক বেশি দাম হাঁকাচ্ছে। সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য তো সীমিত। বুঝতেই পারছি না, ঈদটা কীভাবে কাটবে।’
আরেক ক্রেতা জানান দাম দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। ছেলেমেয়ের জন্য কিছু কিনতে এসেছি, কিন্তু সবকিছুর দাম এত বেশি যে সাধ থাকলেও সব কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ওয়াসিম হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
বিক্রেতারা জানান, ক্রেতার সংখ্যা বাড়লেও বেচাকেনা আশানুরূপ নয়। অনেকে শুধু দেখছেন, দরদাম করছেন, কিন্তু কেনার সময় পিছিয়ে যাচ্ছেন।
সব মিলিয়ে, ঈদ মার্কেটগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা কারণে অনেকেরই সাধ পূরণ হয়ে উঠছে না বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতারা।