ঢাবির ‘ক’ ইউনিটের প্রশ্নে নম্বর ওলট-পালট

ক্রমিক নম্বর ওলট-পালট হওয়া প্রশ্ন ও ঢাবি লোগো
ক্রমিক নম্বর ওলট-পালট হওয়া প্রশ্ন ও ঢাবি লোগো  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি মাধ্যমের প্রশ্নপত্রে ক্রমিক নম্বর ওলট-পালট হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। গত ১১ জুন ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। 

তবে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এমনকি উত্তরপত্র মূল্যায়ন কীভাবে করা হবে সেটিও পরিস্কার করা হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা।

যদিও ঢাবি কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রশ্নপত্রে ক্রমিক নম্বর আগে পরে হলে তা নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে না। যারা উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবে তারা এ বিষয়টি দেখেই খাতা মূল্যায়ন করবে। ফলে ক্রমিক নম্বরের যে সমস্যাটি সামনে এসেছে তা নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের চিন্তার কিছু নেই।

অনুসদ্ধান্তে জানা গেছে, ‘ক’ ইউনিটের ইংরেজি মাধ্যমের প্রশ্নে ‘সেট-সি’ এর  জীববিজ্ঞান অংশে এই সমস্যা হয়েছে। এই সেটে ক্রমিক নম্বর দুই এর প্রশ্নটি দেওয়া হয়েছে শুরুতে। আর ক্রমিক নম্বর ১ এর প্রশ্নটি দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। একই ভুল করা হয়েছে ১৪ ও ১৫ নম্বর প্রশ্নের ক্ষেত্রেও। ক্রমিক নম্বর ১৫ এর প্রশ্নটি দেওয়া হয়েছে ১৪ নম্বরের আগে। আর ক্রমকি নম্বর ১৪ এর প্রশ্নটি দেওয়া হয়েছে ১৫ নম্বরের পরে।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের চাকরি দিচ্ছে ঢাবি, মাসে বেতন এক হাজার টাকা

প্রশ্নপত্রে এমন অসঙ্গতির কারণে চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ক্রমিক নম্বর আগে পরে হওয়ায় ওএমআর শিটে তা কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে তা ম্পষ্ট করা দরকার। কেননা এই দুটি প্রশ্নে নম্বর কম পেলে অনেকেরই ঢাবিতে পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।

‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কার্জন হল কেন্দ্রে অংশ নেওয়া নাবিল মুনতাসির নামে এক ভর্তিচ্ছু জানান, পরীক্ষার প্রশ্নে ক্রমিক নম্বরের সমস্যা দেখে আমরা কক্ষ পরিদর্শককে জানিয়েছিলাম। স্যাররা বলেছেন যেভাবে প্রশ্ন করা আছে সেভাবে বৃত্ত ভরাট করতে। এখন সফটওয়্যারে এটি কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছি।

মুবাসসিরা জান্নাত নামে আরেক ভর্তিচ্ছু জানান, ভর্তি পরীক্ষার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় আছি। দুইটি প্রশ্নের ক্রমিক নম্বর নিয়ে সমস্যা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। ফলে চিন্তা আরও বেড়ে গেছে। 

প্রশ্নপত্র তৈরি ও মূল্যায়নের সাথে যুক্ত শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার্থীরা যে ওএমআর পূরণ করেছে সেটি সফটওয়্যারে প্রবেশ করানো হয় না। ওএমআর শিট সংগ্রহ করার পর সেগুলো আবার আলাদা ওএমআর এ বৃত্ত ভরাট করা হয়। প্রশ্নপত্র তৈরি ও মূল্যায়নের সাথে জড়িত তিনজন শিক্ষক একটি সেটের বৃত্তগুলো খুব সাবধানতার সাথে ভরাট করেন। এরপর সেগুলো সফটওয়্যারে ইনপুট করা হয়। ফলে ক্রমিক নম্বরের যে বিষয়টি সামনে এসেছে সেগুলো তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়েছে। এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের খুব একটা সমস্যা হবে না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রশ্নপত্র তৈরির সাথে যুক্ত ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রশ্নেপত্রে ক্রমিক নম্বর নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে সেটি সমাধান করা হয়েছে। আমরা দুইভাবে প্রশ্নপত্র মূল্যায়ন করেছি। ফলে রেজাল্ট নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে না।

তিনি আরও জানান, ইংরেজি মাধ্যমের ‘সি’ সেটের জীববিজ্ঞান অংশে উত্তর করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০০ এর মতো। আমরা তাদের দুইভাবে মূল্যায়ন করেছি। প্রথমটি হলো ২ নম্বর থেকে শুরু করে ১৫ নম্বর পর্যন্ত। আরেকটি হলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়। ফলে এটি নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে না।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence