রাবির চূড়ান্ত আবেদন: ভর্তিচ্ছুরা এসএমএস না পেলে যা করবেন

রাবির ভর্তি পরীক্ষা
রাবির ভর্তি পরীক্ষা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন আজ শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে শুরুর কথা রয়েছে। এর আগে এসএমএস পাবেন যোগ্য প্রার্থীরা। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে অনেকের ফোনে এসএমএস নাও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ওয়েবসােইটে নজর রাখতে বলা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে এ আবেদন শুরু হওয়ার কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের সিনিয়র প্রোগ্রামার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ফারুক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের বলব, তারা যেন এসএমএসের ওপর নির্ভর না করে আমাদের ওয়েবসাইটে খেয়াল রাখে। কারণ অনেকের ফোন নম্বরে এসএমএস পৌঁছায় না। শতকরা চার-পাঁচ জন শিক্ষার্থী এসএমএস পান না। তাই বলব তারা যেন প্রতিদিন একবার করে ওয়েবসাইটে গিয়ে আপডেট তথ্য খোঁজ করেন। সেটাই ভালো হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, চূড়ান্ত আবেদন শুরুর আগে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে কর্তৃপক্ষ। এসএমএসের মাধ্যমে প্রার্থীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপরও তারা চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন।

এর আগে প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১৭ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। ৮ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডের দেওয়া তথ্য মতে, ভর্তি পরীক্ষার জন্য তিন ইউনিটে (এ, বি, সি) প্রাথমিক আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০টি।

আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ে শুরু হচ্ছে না রাবি ভর্তির চূড়ান্ত আবেদন

এর মধ্যে মানবিক তথা ‘এ’ ইউনিটে আবেদন ১ লাখ ৩০ হাজার, ‘বি’ তথা বাণিজ্য ইউনিটে ৮৮ হাজার ৩০০টি ও বিজ্ঞান তথা ‘সি’ ইউনিটে ১ লাখ ৩৮ হাজার ২০০টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রাথমিক আবেদন শেষে জিপিএর ভিত্তিতে নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুরা চূড়ান্ত পর্যায়ের আবেদন করতে পারবেন ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত।

চূড়ান্ত আবেদন শেষে ৫ মার্চ ‘সি’ ইউনিট, ৬ মার্চ ‘এ’ ইউনিট এবং ৭ মার্চ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ন্যায় এ বছরেও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকছে। প্রাথমিক আবেদন ফি ৫৫ টাকা। চূড়ান্ত আবেদন ফি 'বি' ইউনিটের (বাণিজ্য) জন্য ১১০০ টাকা এবং 'এ' ইউনিট (মানবিক) ও 'সি' ইউনিটের ফি ১৩২০ টাকা।

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মান হবে ১০০ নম্বর। ১ ঘন্টা সময়সীমায় অনুষ্ঠিত প্রতিটি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের মান হবে ১.২৫।ভর্তি পরীক্ষা তিনটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। চার শিফটে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষার প্রতিটি সিফটে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়া ১৮ হাজার করে মোট ৭২ হাজার ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।


সর্বশেষ সংবাদ