ক্যাম্পাস বন্ধ চায় না রাবি ছাত্র ইউনিয়ন, স্বাস্থ্যবিধিতে মত
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:২৬ PM , আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:২৬ PM
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তবে পরিস্থিতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার না করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে ক্যাম্পাস খোলা রাখার পক্ষে মত দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন।
রবিবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন চন্দ্র মহন্তের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা সর্বোত্তম: ঢাবি ভিসি
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও শিক্ষা কার্যক্রমের স্বাভাবিকতা নিশ্চিতে গুলো হলো- প্রথম বর্ষে সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ২ দফা ভ্যাকসিন নিশ্চিতকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী এবং ক্যাম্পাসের স্থায়ী অস্থায়ী সেবাদানকারী, খাবার হোটেল কর্মচারী, দোকানীদের বুস্টার ডোজের আওতায় আনতে হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং করোনা প্রতিরোধে যাবতীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, মেডিকেল সেন্টারে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন এবং সার্বক্ষণিক তথা সাত দিন ২৪ ঘন্টা মেডিকেল সেন্টার খোলা রাখতে হবে, প্রয়োজন পড়লে শিফট অনুযায়ী চিকিৎসা দেবার জন্য চিকিৎসকের সংকট দূর করতে হবে।
আরও পড়ুন: মাস্ক পরিধান না করে ক্যাম্পাসে আসলে ব্যবস্থা নেবে যবিপ্রবি প্রশাসন
হল সমূহে একজন করে আবাসিক চিকিৎসকের ব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি পর্যাপ্ত মাস্ক সরবরাহ, শিক্ষাজট কমাতে প্রয়োজনে সান্ধ্যকোর্স বন্ধ রেখে বিভিন্ন শিফট অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস গ্রহণ, বহিরাগত মোটরসাইকেল এবং মোটর যানবাহন প্রবেশে তথ্য নথিবদ্ধকরণ, স্বাস্থ্যসচেতনা গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ প্রচারণা, স্বাস্থ্য বিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবার জন্য পরিবহনখাতে সিডিউল বৃদ্ধি করতে হবে, ডাইনিং এবং ক্যান্টিনসহ খাবার দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যকর উপায়ে খাদ্য উৎপাদন এবং সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে আক্রান্তরা সুস্থ আছেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিগত সময়ে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার ফলে বেশিরভাগ ডিপার্টমেন্ট তাদের ক্লাস-পরীক্ষাগুলো সঠিক সময়ে নিতে পারেনি। ফলে নির্ধারিত শিক্ষাপঞ্জির বাইরে গিয়ে শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটুক এটা কোনক্রমেই কাম্য নয়।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাজীবন কোনক্রমেই হেয়ালীভরা দৃষ্টিতে দেখে তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেন ধাবিত করা না হয় এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি উক্ত ১১ দফার প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানানো হয়।