নতুন কমিটির দাবিতে রাবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:১১ PM , আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৩৬ PM
নতুন কমিটির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। আজ রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সংগঠনের দলীয় টেন্ট থেকে এ মিছিল বের করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করেন।
আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক বছর মেয়াদী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ৪ বছর আগেই। কিন্তু দীর্ঘ এই সময়ে মধ্যে নতুন কমিটি দিতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শুধু ব্যর্থই নয়, দীর্ঘ এই সময়ে কেন্দ্র নতুন কমিটি দেয়ার ন্যূনতম উদ্যোগ না নেওয়ায় হতাশ পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। ফলে দ্রুত নতুন কমিটির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে তারা।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
এ বিষয়ে নতুন কমিটিতে পদ প্রত্যাশী কাজী লিংকন বলেন, আজ থেকে আমাদের আনুষ্ঠানিক আন্দোলন শুরু হলো। এখন থেকে জাতীয় কোন প্রোগ্রাম ছাড়া বর্তমান কমিটির কোনো প্রোগ্রামে আমরা থাকবো না।
আরেক পদ প্রত্যাশী আসাদুল্লাহিল গালিব বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বৃহৎ এই শাখার কমিটি মেয়াদ ৪ বছর আগে শেষ হলেও নতুন কমিটি না হওয়া দুঃখজনক। আমরা প্রত্যাশা করি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ অতি দ্রুত আমাদের নতুন কমিটির ব্যবস্থা করবেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আটক হয়নি কেউই
এসময় নতুন কমিটিতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম লিংকন, মো. মেজবাহুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনুল ইসলাম সরকার (ডন), প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহিল গালিব, উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাওহীদ দুর্জয়, সদস্য মিরাজ হোসেন, সোহেল রানা সাগর, লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শামীম হোসেন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাসায় বসে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন পৌর মেয়র!
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ১১ ডিসেম্বর ১ বছরের জন্য ২৫১ জনের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে নিষ্ক্রিয় হয়েছেন ২৩১ জন। বিবাহ, চাকরি ও অন্যন্য কারণে অন্যত্র চলে গেছেন অনেকেই। মাত্র ২১ জন সিনিয়র পদধারী নেতাসহ নতুন কর্মীদের নিয়ে পাঁচবছর ধরে চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটি। চার বছর আগে মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিটির বিষয়ে কোন উদ্যোগ না নেওয়াতে নতুন নেতৃত্ব যেমন গড়ে উঠছে না, তেমনি অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ বিভিন্ন গ্রুপিং ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় ভেঙ্গে পড়ছে সাংগঠনিক কাঠামো। ফলে হতাশায় নিষ্ক্রিয় হচ্ছে অনেক কর্মী।