নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার-প্রক্টরসহ ১৩ ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই আন্দোলনে বাধা ও হুমকির অভিযোগে দুই শিক্ষক, এক কর্মকর্তা ও ১৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকার।

শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সাবেক পরিচালক ড. মো. মেহেদী উল্লাহ। শাস্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন সাবেক রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তাদের চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ১৩ ছাত্রলীগ নেতার মধ্যে যাদের এখনো ছাত্রত্ব রয়েছে, তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

সিন্ডিকেটে  শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আনাস সরকার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের আহমেদ সাব্বির (অ্যালেক্স সাব্বির), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. ইনজামামুল হাসান, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কে এম রাজু, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোছা. তৃণা মির্জা, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রিয়াজ উদ্দিন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নাইম আহমেদ দুর্জয়, চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের হাসিব সিদ্দিকী, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাসনীমুল মুবীন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. মোস্তাকিম মিয়া ও দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. পারভেজ মাতুব্বর।

আরও পড়ুন: ম্যানেজিং কমিটি থেকে রাজনীতিবিদরা ‘আউট’, সরকারি কর্মকর্তাদের ‘ইন’ শুরু

এর আগে ২০২৫ সালের ১৬ এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধাদান, ধর্ষণের হুমকি, চিকিৎসা প্রদানে বাধা প্রদান এবং উষ্কানিদাতাদের তথ্য অনুসন্ধানে ১০ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হাবিব-উল-মাওলাকে আহবায়ক এবং প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ