ভেতরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আর বাইরে ছাত্রদল-বাম সংগঠনের হট্টগোল—শেষ হলো চাকসুর ভোটগ্রহণ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১৯ PM , আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৪ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের নিচে হট্টগোল সৃষ্টি করেছেন ছাত্রদল ও বাম ছাত্রসংগঠনের প্যানেলসহ কয়েকজন প্রার্থী। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৪টার পরে অবশিষ্ট ভোটগ্রহণের সময় বিবিএ ফ্যাকাল্টি কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। তবে কেন্দ্রের ভেতরে ঘুরে দেখা গেছে, তখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ভোটগ্রহণ চলছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ৪টার পরে পূর্ব ঘোষিত শেষ সময়ে প্রশাসন ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের গেইট বন্ধ করে দিলে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হট্টগোল বাধায় ছাত্রদল, কয়েকটি বাম সংগঠন ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-ইসলামী ছাত্র মজলিশ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকরা।
কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, বিবিএ অনুষদের নিচে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের প্যানেল দ্রোহ পর্ষদের ভিপি প্রার্থী ঋজু লক্ষী অবরোধ, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ইসলামী ছাত্র মজলিশের সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী তামজিদ উদ্দিন ও জিএস প্রার্থী সাকিব মাহমুদ রুমীসহ আরে কিছু প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগ তুলে। এ সময় চরম হট্টগোলের এক পর্যায়ে উপরে ওঠার গেইট বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশনার ও চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী।
এতে প্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনারকে বলেন, আপনারা বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে এ কাজ করছেন।
তবে ওই সময়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা যায়, কেন্দ্রের ভিতর স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ ছিল। একইসাথে রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং এজেন্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করা অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সালেহ বলেন, আমি যে কেন্দ্রে ছিলাম সেখানে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলাম। সেখানে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ভোটের সময় শেষ হলে চেয়ারম্যানের অফিসে নিয়ে গেছে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান বলেন, এখানে সবার সামনে ভোট হয়েছে, পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিল তারা চেক করেছে। সকালবেলা সকল এজেন্টকে খালি বাক্স দেখিয়ে তারপর সিলগালা করা হয়েছে। ভোটের শেষে এখন আবার এজেন্টদের সামনে খোলা হবে। কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, এখানে মেয়েদের ভোটকেন্দ্রগুলোতে মেয়ে শিক্ষার্থীরা ৪টার আগেই ভোট দিয়ে চলে গেছে। এরপর বাইরে জিজ্ঞেস করা হয়েছে আরো কেউ বাকি আছে কিনা। আর ছেলেদের হলগুলোতে ৪টার পরেও যারা লাইনে ছিল সবাইকে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সব কেন্দ্রেই নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ হয়েছে এবং সার্বিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা।