চাকসু নির্বাচন: চলছে শেষ সময়ের প্রচারণা, ভোটার টানতে মরিয়া প্রার্থীরা

শেষ সময়ের প্রচারণায় প্রার্থীরা
শেষ সময়ের প্রচারণায় প্রার্থীরা  © সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রচারণা। প্রার্থীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। ক্যাম্পাসজুড়ে এখন এক উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রচারণার শেষ সময়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটার টানতে ব্যস্ত প্রার্থীরা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানে জোর প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে শিবির-ছাত্রদলসহ অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রচারণা শুরু হলেও দুর্গাপূজার ছুটিতে দীর্ঘ ৯দিন বন্ধ ছিল ক্যাম্পাস। এসময়ে প্যানেলগুলো অনলাইন প্রচারণায় ব্যস্ত ছিল। আজ নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী আজ সোমবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলবে প্রচারণা।

ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকেই বলছেন, দীর্ঘ বিরতির পর হওয়ায় এবারের চাকসু নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রাণসঞ্চার করবে। অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ইশতেহার বাস্তবায়নে যারা কাজ করবেন তারাই নির্বাচিত হবেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী শিক্ষার্থীবান্ধব কাজগুলোও বিবেচনায় রাখবে বলে জানিয়েছে তারা। এছাড়া একক কোনো প্যানেল নয়, সৎ, যোগ্য এবং চাকসু পরিচালনার জন্য দক্ষ ব্যক্তিকেই নির্বাচনে ভোট দিবেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে, যারা প্রয়োজনে তিন মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরাও দায়িত্বে থাকবে।

আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি প্রবেশপথে প্রতিদিন টহল দিচ্ছে দুইটি করে টহল টিম। বহিরাগতদের প্রবেশেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড বহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম যৌথভাবে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করবে। ৫টি ভবনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের সময় প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া কোনো নিরাপত্তাকর্মী কাউকে ভবনে প্রবেশ করতে দেবে না।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাকসু নির্বাচন। পাঁচটি অনুষদের ৬০টি কক্ষে অনুষ্ঠিত হতে ১৫ টি হলের ভোটগ্রহণ।

 

 


সর্বশেষ সংবাদ