পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জাবিতে সাংবাদিক হেনস্তা 

সাংবাদিক হেনস্তাকারী রোকনুজ্জামান রিমন
সাংবাদিক হেনস্তাকারী রোকনুজ্জামান রিমন  © সংগৃহীত

পুনরায় অটোরিকশা চালুর দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলন চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হেনস্তার স্বীকার হওয়া সাংবাদিকের নাম আকিব সুলতান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও এনটিভি অনলাইনের জাবি প্রতিনিধি । এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা অটো রিকশা চালুর দাবিতে আন্দোলন করার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ৫৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার জন্য প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভিড় করেন। এ সময় কমনওয়েলথের এশিয়া সুশাসন ও শান্তি বিষয়ক প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাথে  দেখা করতে প্রশাসনিক  ভবনে প্রবেশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে দেওয়ার জন্য এবং কমনওয়েলথ এর বিদেশি প্রতিনিধিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করা হলে ইতিহাস বিভাগ ৪৯ ব্যাচের  শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান রিমন এবং ৫১ ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী তানজির রহমান লিমন ভুক্তভোগী সাংবাদিকসহ আরো বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে ঘিরে ধরেন। এ সময় তারা ভুক্তভোগী সাংবাদিককে কেন্দ্র করে মবের  সৃষ্টি করেন। মব পরবর্তী সময়ে রোকনুজ্জামান রিমন ভুক্তভোগী সাংবাদিককে পাশে ডেকে মারার হুমকি প্রদান করেন।  

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আকিব সুলতান বলেন, বিক্ষোভকারীরা ভবনে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী-অভিভাবক, সাংবাদিক ও কমনওয়েলথের এশিয়া সুশাসন ও শান্তি বিষয়ক প্রধানকে আটকে বিক্ষোভ করেন। এসময় তাদেরকে অনুরোধ করা হয় যাতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে দেয়া হয় এবং একজন আন্তর্জাতিক অতিথিকে হেনস্তা না করে যেতে দেওয়ার অনুরোধ করা  হয়। এসময় রোকনুজ্জামান রিমনের (ইতিহাস ৪৯ ব্যাচ) নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী আমাদের দিকে মব তৈরি করে তেড়ে আসে। আমি ইতোমধ্যেই প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে আভিযোগপত্র জমা দিয়েছি।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা সাংবাদিকরা তাদেরকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে দিতে এবং কমনওয়েলথের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করি। এসময় আকিব ও সাংবাদিক সমিতির মামুন ভাই সামনে গিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিতে বললে তারা মব সৃষ্টি করে এবং তাদেরকে মারতে উদ্যত হয়। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, এধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য না। সাংবাদিকরা সবসময়ই শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনের সচেষ্ট থাকেন। তাদের কাজে বাধা দেয়া বা হেনস্তা করা কোনোভাবেই কাম্য না। সকলেই আন্দোলনে সহাবস্থান বজায় রাখা উচিত।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!