বাজেটে শিক্ষাখাতে ২৫ শতাংশ বরাদ্দসহ ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি ছাত্র ফ্রন্টের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ০৫:৫০ PM , আপডেট: ২৮ মে ২০২৫, ০১:০৫ AM
আসন্ন বাজেটে শিক্ষাখাতে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ এবং ডাকসুসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (২৬ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং ‘অপরাজেয় বাংলা’র সামনে সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি সালমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সঞ্জয় কান্ত দাশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোজাম্মেল হক। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ফরিদ সঞ্চালনা করেন।
বক্তব্য প্রদানকালে সমাবেশে মোজাম্মেল হক বলেন, অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নিরাপদ এবং গণতান্ত্রিক শিক্ষাঙ্গনের আকাঙ্ক্ষা গড়ে ওঠে। কিন্তু আমরা দেখেছি তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার মোটিফ পোড়ানো, একজন নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা থেকে শুরু করে সাম্য হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনার বিচার না হওয়ার কারণেই অন্য ঘটনাগুলো ঘটার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতির অবসান হওয়া জরুরি। গণতান্ত্রিক শিক্ষাঙ্গণ নিশ্চিত করতে ডাকসুসহ সকল উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করা জরুরি।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজে বৈষম্যবিরোধীদের ওপর হামলা ছাত্রদলের, আহত ১৫
সঞ্জয় কান্তি দাশ তার বক্তব্যে বলেন, বিগত প্রায় ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে আমরা দেখেছি, ছাত্রলীগ কীভাবে ক্যাম্পাসগুলোতে সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব, গণরুম, গেস্টরুম কালচার বজায় রেখে শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করেছিলো। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য প্রণয়ন করেছিলো ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১’। এর বিরুদ্ধে আমরা
শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক-বিশিষ্টজনদের সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলি। অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করলেও ‘শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করেনি। নতুন সরকার শিক্ষা নিয়ে আওয়ামী আমলের যে নীতি, সেই নীতিতেই চলছে। ফলে শিক্ষা খাতে যে সংকট সেটা এখনও চলমান আছে।
সমাপনী বক্তব্যে সালমান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের সংগঠন দীর্ঘদিন যাবত দাবি জানিয়ে আসছে জিডিপি’র ৬ ভাগ বা বাজেটের ২৫ ভাগ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দিতে হবে। আসন্ন বাজেটে তার বাস্তবায়ন আমরা দেখতে চাই। সারাদেশে ক্যাম্পাসগুলোতে গবেষণা খাতে বরাদ্দ খুবই অল্প। অ্যাকাডেমিক ভবন সংকট, আবাসন সংকট, বেতনবৃদ্ধি সহ নানা সংকটে জর্জরিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই সংকটগুলো নিয়ে কথা বলে শিক্ষার্থীদের দ্বারা নির্বাচিত ছাত্র সংসদ। ১৯৯০ সালের পর থেকে ক্ষমতাসীন সরকারগুলো ছাত্র সংসদগুলোকে অচল করে রেখেছিলো। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্যে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই অবিলম্বে ডাকসুসহ সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।