চবিতে নতুন করে আবাসন সুবিধা পেল ১ হাজার শিক্ষার্থী

অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হল ও শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হল
অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হল ও শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হল  © টিডিসি

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রদের জন্য চালু হয়েছে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হল। ২০১৮ সালে হলটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে এই হলে প্রায় ৩২০ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পেয়েছেন।

এর পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হওয়া শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে আসন পেয়েছেন আরও প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী। ফলে নতুন করে দুইটি হলে মোট ১ হাজার শিক্ষার্থী আবাসনের সুযোগ পেলেন।

শনিবার (৩ মে) দুপুরে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। উদ্বোধনের পর হল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. এ. জি. এম. নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। এছাড়া বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আল-আমীন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আলাউদ্দিন মজুমদার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রভোস্ট ড. নিয়াজ উদ্দিন বলেন, “২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে এই হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল এবং ২০১৮ সালেই শিক্ষার্থী ওঠানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। গত সেপ্টেম্বর মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা নিরলসভাবে কাজ করেছি, আর আজ তা বাস্তবায়িত হলো।”

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “একটি নতুন হল চালুর আগে সেটিকে মেরামত করতে হয়েছে—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই হলটি চালু হতে সময় লেগেছে প্রায় ১০ বছর, অথচ এর মধ্যে চারজন প্রভোস্ট দায়িত্ব পালন করেছেন। বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর।”

উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার এবং নিজস্ব রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাই, যেন সরকারকে এই দাবিগুলোর বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, “আমরা দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ছয় মাসের মধ্যে দুটি হলে এক হাজার শিক্ষার্থীকে আবাসনের সুযোগ দিতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি ছোট পৃথিবী। কিন্তু আমাদের বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন কমে গেছে—সেটি ধরে রাখতে হলে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। যদিও আমরা রাতারাতি সব শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে পারব না, তবে নতুন হল নির্মাণে সরকারের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।”


সর্বশেষ সংবাদ