শর্তে অনশন ভাঙেন জাবি শিক্ষার্থীরা, পূরণ না হলে আন্দোলনের ডাক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৩ PM , আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৬ PM

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আমৃত্যু গণ-অনশনরত শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের আশ্বাসে তারা জুস পান করে অনশন ভাঙেন।
আজ বেলা ৩টায় কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির সঙ্গে প্রশাসন সভা করে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, এমন আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন স্থগিত করেন।
তবে দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে, তাহলে পরে বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অনশন স্থগিতের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের সঙ্গে নীতিগত জায়গায় একমত হয়েছে। আজ বেলা ৩টায় সব পক্ষের সঙ্গে বসে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যৌক্তিক সমাধান করার। বেলা ৩টার মিটিংয়ে আলোচনার ফলাফল দেখার শর্তে আমরা আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, ‘আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে পোষ্য কোটার বিষয়ে যৌক্তিক সুরাহা প্রদানের আশ্বাস দেন। এই আশ্বাসে অনশনকারী শিক্ষার্থীরা অনশন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে। যদি প্রশাসন আমাদের দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে, তাহলে পরে বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’
অনশনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আট শিক্ষার্থী আমৃত্যু গণ-অনশন শুরু করেন। পরে ইসলামী ছাত্রশিবির, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ও ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে আরও ছয়জন অনশনে সংহতি প্রকাশ করেন।
রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত কয়েক দফায় উপাচার্য ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং আজ সোমবার পর্যন্ত সময় চান। কিন্তু অনশনকারীরা রাজি হননি। পরে রাত ৩টা থেকে শিক্ষার্থীরা অনশন না ভাঙা পর্যন্ত উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) সোহেল আহমেদ, সহ-উপাচার্য মাহফুজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রব, রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান, প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন মাফরুহী সাত্তারসহ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশে চেয়ারে বসে থাকেন।