স্থানীয়দের সাথে চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

প্রশাসনের মধ্যস্ততায় স্থানীয় ও চবি ছাত্রলীগের মাঝে সমঝোতা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের মধ্যস্থতায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের মধ্যেকার চলমান সংঘাতের মীমাংসা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে উপাচার্যের অফিস কক্ষে এই মীমাংসা হয়।

বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন চবি প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার। তিনি বলেন, তারা উভয় পক্ষ এমন অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। এবং একে অপরের কাছে ক্ষমা চেয়ে মিলেমিশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এই ঘটনায় হওয়া তদন্ত কমিটির সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির কাজ চলমান আছে। তারা রিপোর্ট জমা দিলে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতারের সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) প্রফেসর ড.বেনু  কুমার দে, উপ-উপাচার্য  (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী, প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও  প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের) পিপি অ্যাডভোকেট শামীম, হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক মনজুরুল আলম মঞ্জু, ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, স্থানীয় ছাত্রনেতা হাসান উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ বখতিয়ার, মিজানুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়  ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের নেতা ইলিয়াসও উপস্থিত ছিলেন তখন।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১২মার্চ) মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগা নিয়ে চবির দুই নম্বর গেইট এলাকায় চবি কর্মচারী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিনের অনুসারীদের সাথে চবি ছাত্রলীগের বগিভিক্তিক উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মীদের হাতাহাতি ও পরে ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রাত ৯টায় সংঘাত শেষ হয়। এতে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়।

এই ঘটনায় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়ে দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। কিন্তু দুই দিন পেরিয়ে গেলেও দোষীদের শাস্তির আওতায় না আনা এবং থানায় জিডি না নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ মার্চ জুমার নামাজের পর রেলক্রসিং এলাকায় অবস্থান নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে মারধর করেন তারা। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে আন্দোলন শুরু করে চবি ছাত্রলীগ। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।


সর্বশেষ সংবাদ