অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ঠেকাতে ৬০ হাজার টাকা দাবি জাবি ছাত্রলীগ নেতার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (২০২২-২৩) উপলক্ষে বটতলার খাবারের কয়েকটি দোকান প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বর্ধিত করে ব্যবসা পরিচালনা করছিল। ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন (১৭জুন) বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এসব অনুমতিহীন দোকানের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে ফেলার নিদের্শ দেন।

দোকান মালিকরা জানায়, ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশনার খবর পেয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন এসে দোকান মালিকদের সাথে কথা বলেন। তাকে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে পারবেন বলে তাদের জানান ফরাহাদ। এ নিয়ে দোকানীদের সাথে গত ১৮ জুন রাত ৩টায় বৈঠক হয়। দোকানীরা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ১০ হাজার টাকা দিতে চায় । কিন্তু ৬০ হাজার টাকার কমে ফরহাদ রাজি হননি বলে জানান দোকান মালিকরা।

পরের দিন (১৯ জুন) আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের ওয়ার্ডেন ও সহকারী প্রক্টর ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া খাবারের মান নিয়ন্ত্রনের জন্য আবারও অভিযানে যায়। এসময় তিনি এসব দোকানের অবৈধ বর্ধিতাংশগুলো রাতের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশনা দেন। পরে ঐ রাতে দোকানদাররা প্যান্ডেল ভেঙ্গে ফেলেন। এসময় অভিযানে সহকারী প্রক্টরের সাথে ফরহাদও ছিলেন। জানা গেছে, ছাত্রলীগের এই নেতা আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দোকান মালিক বলেন, প্যান্ডেল করতে আমাদের ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রশাসন আগে থেকে যদি নির্দেশনা দিতো তাহলে আমাদের এই টাকা ব্যয় হতো না। আবার অতিরিক্ত ৬০ হাজার টাকা ছাত্রলীগ নেতাকে দিয়ে প্যান্ডেল রক্ষা করলে আমাদের পোষাবে না।

টাকা চাওয়ার বিষয়টি ফরহাদ হোসেন অস্বীকার করে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। প্রতিবছরই প্যান্ডেল থাকে। প্যান্ডেল রাখা না রাখার বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রশাসনের বিষয়।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, দোকানগুলো বর্ধিতাংশগুলোর কারণে বটতলা সংলগ্ন রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছিল। তাই বর্ধিতাংশগুলো সরিয়ে ফেলতে বলেছি। এজন্য দোকানদারের হয়ে কেউ আমার কাছে তদবির করতে আসে নি। আসার সুযোগও নেই।


সর্বশেষ সংবাদ