জাবিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে অবরুদ্ধ করলো ছাত্রলীগ
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ০২:৪৯ PM , আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:১০ AM
জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তে সংশ্লিষ্ঠ থাকার অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. সালাহউদ্দীন আহমেদেকে অপসারণের দাবি তুলেছে শাখা ছাত্রলীগ। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে তালা দিয়ে তাকে অবরুদ্ধও করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সামনে এই অবরোধ করেন তারা।
পরে বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের আশ্বাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বিবেচনায় অবরোধ স্থগিত করে তালা খুলে দেয় নেতাকর্মীরা।
এসময় তারা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সাথে জড়িত এমন কেউ এরকম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকুক তা আমরা চাইনা। যেসব ব্যক্তি এই বঙ্গবন্ধুর মাটিতে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কোন অধিকার নাই।
তারা বলেন, জামায়াত-বিএনপি পন্থী এই শিক্ষককে গত ২ জানুয়ারি যখন নিয়োগ দেয়া হয়, আমরা তখনই ছাত্রলীগের সভাপতি সেক্রেটারির উপস্থিতিতে উপাচার্যের কাছে যাই। উপাচার্য ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিষয়টির সমাধান দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ২/৩ মাস পেরিয়ে গেলেও এ ব্যাপারে প্রশাসন কোন সিদ্ধান্ত নেয় নি। যার ফলে এরকম স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থান করে নিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুর রহমান এনাম বলেন, আমরা একাধিকবার আজকের অবরোধে বিষয়ে সভাপতি-সেক্রেটারিকে বলেছি। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেন নি। আমাদের মধ্যে অনেক নেতাকর্মী ধারণা করেছে সভাপতি- সেক্রেটারী হয়তো অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে নিয়েছে। এছাড়া আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জায়গা থেকে এই অবরোধে এসেছি। আমাদের কাছে দলের আদর্শই আগে।
তিনি বলেন, আমরা অবরোধ তুলে নেই নি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কথা চিন্তা করে অবরোধ স্থগিত করেছি। আগামী ১ দিনের মধ্যে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির অপসারণ করা না হলে এই অবরোধ চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আজ উপাচার্য প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। উপাচার্য ফিরে আসলে আমরা আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত বিষয়টির সমাধান করবো।
এবিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সকালে আমি যখন অফিসে ঢুকছিলাম তখন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী এসে আমাকে অফিস থেকে চলে যেতে বলে। তখন আমি বলি আমি তো তোমাদের কথায় যাবো না। ভিসি আমাকে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি বললে তবেই আমি যাব। আর এর আগে আমি কখনো জামাত বিএনপি'র সাথে জড়িত ছিলাম না। এছাড়া আমার মনে হয় এই অবরোধের মাধ্যমে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে এসেছে।