চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ে আগুন, পুড়ে গেছে গাছপালা
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৬ AM , আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৬ AM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) অভ্যন্তরে একটি পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে পাহাড়ের বেশকিছু গাছপালা পুড়ে গেছে। তবে গাছপালা পুড়লেও বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের পেছনে একটি পাহাড়ে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি প্রক্টরিয়াল বডিকে জানানো হলে ফায়ারসার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা নতুন কিছু নয়। ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসের গোলপুকুর সংলগ্ন পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়ে গেছে পাহাড়ি গাছ, লতা-গুল্ম।
এর আগে ২০২০ সালের ১১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু হলের পেছনের পাহাড়ে এই আগুন দেখা যায়। এর দু’দিন পর ১৩ মার্চ দিনের একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদের মাঝের পাহাড়ে আগুন লাগে। আগের দিনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে পরের দিন ১৪ মার্চ ফের আগুন লাগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড়ে।
আরও পড়ুন: আগুন লাগে পাঁচ ধরনের, কীভাবে নেভাবেন জেনে নিন
এর পর ১৭ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফের বঙ্গবন্ধু হলের পাশে একটি পাহাড়ে আগুন লাগে। পরে ২১ মার্চ ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ সংলগ্ন একটি পাহাড় ও ঝরনার পাশের আরেকটি পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এভাবে পাহাড়ে আগুন লাগার ফলে যেমন করে লতা-গুল্ম পুড়ে ছাই হচ্ছে তেমন করে জ্বলে যাচ্ছে বড় গাছও। পাহাড় কাটা, বৃক্ষ নিধন, আগুন লাগার ফলের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি হুমকির মুখে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্য। প্রশাসনের উচিত এসব বিষয়ে কড়া নজর দেওয়া।
এদিকে, একের পর এক পাহাড়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। নির্বিচারে পাহাড় পোড়ানো ও গাছ কাটার ফলে বিরূপ প্রভাব পড়েছে প্রকৃতির উপর। পাহাড়ে আগুনের ফলে বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষাকালে এ কারণে শুকর-বানর-সাপ-হরিণসহ চবির সমতলে নেমে আসতে পারে আশংকা করছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, গতকাল আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ারসার্ভিসকে জানিয়েছি আমরা। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয়রা পাহাড়ের খড়কুটো পরিষ্কার করার জন্য আগুন জ্বালিয়েছিল, সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে কিছু গাছপালা পুড়ে গেলেও কোনও বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।