আগুন লাগে পাঁচ ধরনের, কীভাবে নেভাবেন জেনে নিন

বিভিন্নভাবে আগুন লাগতে পারে, নেভানোর উপায়ও ভিন্ন
বিভিন্নভাবে আগুন লাগতে পারে, নেভানোর উপায়ও ভিন্ন  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডেরি বিএম কনটেইনার ডিপোয় আগুন লেগে প্রাণ গেছে ৪৯ জনের। কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক থেকে ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শুরুতে তথ্য না থাকায় আগুন নেভাবে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। জীবন বাজি রেখে আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ গেছে বাহিনীর অনেক কর্মীর।

আগুন নানা কারণে লাগতে পারে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, আগুনের পাঁচটি ধরন রয়েছে। তারা বলছে, ধরন বুঝে আগুন নেভানো উচিত। আগুনের পাঁচটি ধরন ও নেভানোর প্রক্রিয়া জেনে নিন-

১. পুড়ে ছাই বা কয়লা হয়ে যায় এমন আগুন

২. তেলের আগুন

৩. গ্যাসের আগুন

৪. ধাতব পদার্থের আগুন

৫. ইলেকট্রিক আগুন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগুন ধরতে দাহ্য-বস্তু বা জ্বালানি, অক্সিজেন ও তাপ লাগে। এর যেকোনো একটি সরিয়ে ফেললে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এক এক ধরনের আগুন নেভাতে ভিন্ন ধরনের কৌশল নিতে হয়।

আরো পড়ুন: বাবার ছবি হাতে মর্গের সামনে ফাতেমার অপেক্ষা

১. পুড়ে ছাই বা কয়লা হয় এমন আগুন: এমন আগুন ছড়ায় সাধারণত চুলা থেকে। কাঠ বা কয়লা দিয়ে যেসব চুলা জ্বালানো হয় সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরণের আগুন নেভাতে পানি, শুকনো বালি ও ভেজা বস্তা ব্যবহার করতে হবে।

২. তেলের আগুন: তেল থেকে আগুন লাগলে তা নেভাতে ফোম ব্যবহার করা হয়। ফায়ার সার্ভিস বলছে, এক্ষেত্রে কেমিক্যাল মিশ্রিত ফোম বেশি কার্যকরী। তবে তা সময়সাপেক্ষ। এ জন্য ভেজা বস্তা বা কাঁথা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

৩. গ্যাস থেকে লাগা আগুন: বাসাবাড়িতে গ্যাস থেকে আগুন ধরলে প্রথমে গ্যাসের লাইন বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। এর পর বস্তা বা পানি দিয়ে বাড়ি দিতে হবে। এতে বাতাস বন্ধ হয়ে যাবে।

৪. ধাতব পদার্থের আগুন: ধাতব পদার্থের আগুন পানি দিয়ে নেভানো যাবে না। শুকনা বালি দিয়ে তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আগুন ধরতে দাহ্য-বস্তু বা জ্বালানী, অক্সিজেন ও তাপ লাগে, তাই ধাতব পদার্থের আগুন থেকে তাপ সরিয়ে ফেললে নেভানো সহজ হবে।

৫. বৈদ্যুতিক গোলযোগের আগুন: ইলেকট্রিক শর্টসার্কিট বা গোলযোগ থেকে আগুন লাগলে নেভাতে পানি দেওয়া যাবে না। এতে যে ব্যক্তি পানি দেবেন, তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবেন। পানি দেয়া যাবে ছুঁড়ে বা কাটা কাটা ভাবে। এতে ব্যক্তির সঙ্গে সাথে পানির কোনো ছোঁয়া যাতে না থাকে। এই আগুন নেভাতে কার্বন ডাই অক্সাইড দরকার হয়। এ জন্য এবিসিই ড্রাই পাউডার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে আগে।

প্রাথমিকভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ও কুয়াশা আকারে পানি দিয়ে নেভানো যায়। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সাহায্য নিতে হবে। যেকোনো ধরনের আগুন লাগলে সবার আগে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence