ঢাবিতে সান্ধ্য কোর্সে চাকরিজীবীদের অগ্রাধিকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   © ফাইল ছবি

প্রায় দুই বছর ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর নতুন নীতিমালার আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সান্ধ্য কোর্সে কয়েকটি বিভাগে আবারও শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, সান্ধ্য কোর্সে চাকরিজীবীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, আয়-ব্যয়ের বিষয়ে সুপষ্ট নির্দেশনা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য কোর্স নানা সমস্যার কারণে সমালোচিত হয়েছিল। বাড়তি ফি নেওয়া, সান্ধ্যকোর্সে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অবহেলা, স্পষ্ট নীতিমালা না থাকা সহ ইত্যাদি কারণে সমালোচিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকোর্স। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যকে (শিক্ষা) আহবায়ক করে সান্ধ্যকোর্স নীতিমালা প্রণয়ন করতে কমিটি গঠন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও সান্ধ্যকোর্স বিধিমালা প্রণয়ন কমিটি আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এ বিষয়ে জানান, নানা কারণে সান্ধ্য কোর্স নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা চলে আসছে। মাননীয় চ্যান্সেলরও এ বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। সমাজ ও জাতির চাহিদা বিবেচনা নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ফেল করায় গলায় ফাঁস দিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সান্ধ্য কোর্সে চাকরিজীবীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, বিভাগগুলো চাইলেও একাধিক কোর্স পরিচালনা করতে পারবে না, এক বছরে সর্বোচ্চ দুই সেশনে ভর্তি করা যাবে। নিয়মিত শিক্ষার্থীর অর্ধেক হতে হবে সান্ধ্য কোর্সে এবং ন্যূনতম ৪০ জন না হলে কোর্স চালু করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রফেশনাল কোর্সের শিক্ষার্থী ভিন্ন কালারের আইডি কার্ড প্রদান করা হবে।

এছাড়াও সান্ধ্য কোর্সে ফি নেওয়ার ব্যাপারটি প্রতিরোধে বছর শেষে আয়-ব্যয় সংক্রান্ত হিসাব নিয়ে অডিট করতে হবে। চলমান কোর্সের হিসাব দিতে না পারলে পরবর্তী কোর্সের অনুমোদন পাবে না সংশ্লিষ্ট বিভাগ।  

এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ব্যাংকে শিক্ষার্থীর ভর্তির হিসাব থাকবে । সেখান থেকে প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য ৪৫ শতাংশ, সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিস ৫ শতাংশ, কেন্দ্রীয় ছাত্রবৃত্তি তহবিল ১০ শতাংশ, গবেষণার জন্য ৫ শতাংশ, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের উন্নয়নের জন্য ৫ শতাংশ এবং বাকি অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে।

 


সর্বশেষ সংবাদ