অনলাইন পাঠদানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ আশাব্যঞ্জক নয়: ইউজিসি চেয়ারম্যান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২০, ০৬:১৩ PM , আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০, ০৬:২১ PM
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনলাইনে পাঠদান অংশগ্রহণমূলক, আকর্ষণীয় ও কার্যকরভাবে সম্পাদন করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। ইউজিসি’র স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং, কোয়ালিটি অ্যসিউরেন্স (এসপিকিউএ) বিভাগ আয়োজিত ‘অনলাইন পাঠদানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) এ আহবান জানান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আশাব্যঞ্জক নয়। এক্ষেত্রে শিক্ষকদেরকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। অনলাইনে পাঠদান আরও আনন্দময় ও আকষর্ণীয় করতে হবে। শিক্ষকদেরকে আন্তরিকতার সাথে এবং উপযুক্ত পরিবেশে ক্লাস নিতে হবে। পাঠে শিক্ষার্থীদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে অনলাইন পাঠে উপকৃত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখেতে হবে। অনলাইন পাঠে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখতে শিক্ষকদেরকে তিনি আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
তিনি আরও বলেন, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের প্রধান দু’টি সমস্যা (ডিভাইস ও ইন্টারনেট) সমাধান ইতোমধ্যে করা হয়েছে। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) ও সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন টিচিং এন্ড লার্নিং (সিইটিএল)-কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্ববিজৎ চন্দ-এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, এসপিকিউএ বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শাসমুল আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় রিসোর্চ পার্সন ছিলেন আইইউবির স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। উদ্বোধনী দিনে কর্মশালায় ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি ও সিইটিএল এর ৫২ জন পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার ২য় ধাপে ২৬ নভেম্বর ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩য় ধাপে ২৯ নভেম্বর ৬০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি ও সিইটিএল পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকগণ অংশগ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রয়েছে। করোনা সংক্রমণের ১ম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে ইউজিসি। শিক্ষার্থীদের সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট ডাটা প্যাকেজ ও স্মার্টফোন ক্রয়ে সফটলোন দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।