ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া এড়াতে যে কাজগুলো করবেন

ছিনতাই
ছিনতাই  © প্রতীকী ছবি

বর্তমান সময়ে রাস্তাঘাটে মানুষ সহজেই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। নারী-পুরুষ উভয়েই এই ঘটনার শিকার হলেও নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি অধিক পরিলক্ষিত হয়। সারা দেশে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও রাজধানীতে অহরহ ছিনতাই হচ্ছে। এতে যেমন সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে পাশাপাশি প্রাণনাশের শঙ্কাও রয়েছে। 

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকার মধ্যে এলাকাভিত্তিক হিসেবে ছিনতাই বেশি হয় বাড্ডা, ভাটারা, মিরপুর ও পল্লবী এলাকায়। এছাড়া শাহবাগ, মগবাজার, রমনা, মালিবাগ রেলগেট, চানখাঁরপুল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকা, গুলিস্তান, ধানমন্ডি, জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড, নিউমার্কেট, পান্থপথ মোড় ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায়ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।

এসব ছিনতাইকারীদের হাতে বেশিরভাগ সময় অস্ত্র থাকে। অনেক সময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করা হয়, অনেকক্ষেত্রে প্রাণহানিও ঘটে।

ছিনতাই ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তবে এই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিজেদেরকে সচেতন থাকতে হবে। তাই জেনে নি কিভাবে ছিনতাইকারীর শিকার হওয়া এড়াবেন:

১. পুলিশ হেল্পলাইনগুলো জেনে রাখুন
সচেতন নাগরিক হিসেবে পুলিশের হেল্পলাইনগুলো সবার জানা দরকার। মোবাইলের ডায়াল লিস্টে এ নাম্বারগুলো রাখবেন। যদি আপনার সঙ্গে কোন ঘটনা ঘটে যায় তাহলে দ্রুত যাতে পুলিশকে জানাতে পারবেন।

আরও পড়ুন: ‘এই সেই অমানুষ’ বলেই রুবেলকে জুতাপেটা করলেন ঢাবি ছাত্রী।

২. অনিরাপদ স্থান এড়িয়ে চলুন
যেসব এলাকা ‌আপনি জানেন যে অনিরাপদ সেসব পথ এড়িয়ে চলুন। সন্ধ্যার পর অন্ধকার রাস্তা দিয়ে না গিয়ে আলো আছে এবং মানুষের চলাচল আছে এমন রাস্তা ব্যবহার করুন।

৩. সতর্ক থাকুন
সব সময় আশপাশের পরিবেশটা খেয়াল রাখবেন, সতর্ক থাকবেন। কোন অস্বাভাবিক কিছু নজরে পরলে বা আঁচ করতে পারলে সে রাস্তা দিয়ে না যেয়ে অন্য রাস্তা ব্যবহার করুন।

৪. যেসব এলাকায় যাবেন সে এলাকা সম্পর্কে জ্ঞান রাখুন
আপনি যদি অপরিচিত কোন এলাকায় যেতে চান তার আগেই ঐ এলাকা সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ-খবর নিয়ে নিন। সেখানে আপনার পরিচিত কেউ থাকলে আগে থেকেই তাকে আপনার সেখানে যাওয়ার বিষয়টা জানিয়ে রাখুন। কোন রাস্তায়, কোন পরিবহণ ব্যবহার করবেন সেটা আপনি আগে থেকেই ঠিক করে ফেলতে পারেন।

৫. কিছু সেলফ ডিফেন্স বা আত্মরক্ষার মূল কৌশল শিখে রাখুন
কিছু আত্মরক্ষামুলক কৌশল শিখে রাখুন, আপনি যখন বিপদে পরবেন তখন ওই আত্মরক্ষা মুলক কৌশল ব্যবহার করে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

কিছু কৌশল রয়েছে যেমন: ছিনতাইকারীরা সাধারণত পুরষ হয় সেক্ষেত্রে তার পুরুষাঙ্গে আঘাত করে তাকে দুর্বল করে দেয়া যায়। এছাড়া কোন সুচালো বস্তু কাছে থাকেলে তা দিয়ে তার চোখে কিংবা মুখে আঘাত করতে পারেন।

মানুষ নিজে সচেতন হওয়া এবং প্রশাসনের কড়া নজরদারীর মাধ্যমে এই ধরণের অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে যথাযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া। 


সর্বশেষ সংবাদ