টাকার বিনিময়ে এমপিওভুক্তির সুযোগ দেয় না কারিগরি অধিদপ্তর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৮ AM , আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৮ AM
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের টাকার বিনিময়ে এমপিওভুক্তির সুযোগ দেওয়া হয় না। অধিদপ্তরের কোনো কাজে টাকার প্রয়োজন হয় না। অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
বুধবার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার পরিচালক প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদীন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রকার প্রতারক চক্র কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও অধিদপ্তরাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তার এমপিওভুক্তিকরণ, উচ্চতর স্কেল প্রদান, পদোন্নতি, ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধি মনোনয়নে সহযোগিতা, এমপিও শীটে নাম, পদবী, জন্ম তারিখ সংশোধন, বকেয়া প্রদান, প্রশিক্ষণে শিক্ষক-কর্মকর্তা মনোনয়ন, ইনডেক্স প্রদান, ইনডেক্স কর্তনসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ফোন, ই-মেইল, এসএমএস করে বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করছে। ইতোমধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে একাধিক প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অবস্থান অত্যন্ত সুস্পষ্ট। এ অধিদপ্তরের কোন কাজে কাউকে টাকা প্রদানের প্রয়োজন হয়না। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট বিধি-বিধানের ভিত্তিতে সেবা প্রদান করে থাকে। অর্থের বিনিময় বা উপহারের বিনিময়ে কোন কাজ হওয়ার সুযোগ নেই। অধিকন্তু, অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। যে সমস্ত ফোন নম্বর দিয়ে বিকাশ, রকেট, নগদ বা অন্য কোন মাধ্যমে ফোন করে অর্থ দাবি করে সে সমস্ত নম্বরসমূহ চিহ্নিত করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করা
প্রয়োজন।
বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানায়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের অফলাইন/অনলাইন প্রশিক্ষা আয়োজন করে। এ সকল প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মানী অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে নগদ/বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। সম্প্রতি একটি জালিয়াতি চক্র প্রশিক্ষণের সম্মানী দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণার্থীর নিকট হতে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জানতে চায়। এ ধরণের কাজের সাথে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো প্রতারক চক্র বা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও অধিদপ্তরাধীন প্রতিষ্ঠানের কথিত কর্মকর্তা কর্তৃক ই-মেইল, এসএমএস, ফোন, চিঠিপত্র কিংবা তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের ভিত্তিতে কাউকে কোন অর্থ/উপহার, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর/ক্রেডিট কার্ড/ডেভিট কার্ড/বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কোনো তথ্য অপরিচিত কোন ব্যক্তিকে প্রদান না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো। কেউ কোনো ধরনের সুবিধা বা অর্থ দাবী করলেই বুঝতে হবে এটা প্রতারক চক্রের কাজ, এক্ষেত্রে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।