প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ৪ হাজার জনকে নিয়োগ দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৬ PM , আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৯ PM
২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করছেন নিয়োগ বঞ্চিতরা। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। গতকালও (রবিবার) মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছেন তারা।
নিয়োগ বঞ্চিতরা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অদৃশ্য জটিলতার কারণে আমরা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ বঞ্চিত। ২৪ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে আমরা মাত্র ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই যা মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর ২.৩ শতাংশ। এদের মধ্যে ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। সেখান থেকে ৪ হাজারের অধিক কর্মস্থলে যোগদান করেননি। যোগদান না করা ৪ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ চাই।
তারা আরও বলেন, সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এই ৪ হাজার জনকে বঞ্চিত করে পরবর্তী সার্কুলার দিয়ে শত শত কোটি টাকার নিয়োগবাণিজ্য করে ৬১ জেলার নিয়োগ প্রার্থীদের বঞ্চিত করেছেন। সার্কুলারের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা ছিল, শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু শূন্য পদ রেখে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করা হয়। বর্তমানে আমরা ৭ থেকে ৮ হাজার প্রার্থী ২০১৮ সালের নিয়োগের অপেক্ষায় আছি।
প্রাথমিকে নিয়োগ বঞ্চিতরা দাবি করেন, ‘ওপর মহলের‘ নির্দেশে ২০১৮ সালে ভিন্নমতের প্রার্থীদের অর্থাৎ যারা আওয়ামী লীগ করেনি তাদের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য রিট করা হলে হাইকোর্ট শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ না মেনে জাকির হোসেনের নির্দেশে পরবর্তী সার্কুলার দিয়ে শত শত কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য হয়। আমরা ২০২০ সালে প্রেসক্লাব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ৫৭ দিন আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি পালন করি।