প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

কর্মসূচিতে শিক্ষকদের দুই গ্রুপের হাতাহাতি
কর্মসূচিতে শিক্ষকদের দুই গ্রুপের হাতাহাতি  © টিডিসি ফটো

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত লং মার্চ কর্মসূচিতে শিক্ষকদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। বুধবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জাতীয়করণের দাবি আদায়ে লং মার্চে অংশ নিতে সকাল থেকেই প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষকরা। কর্মসূচি শুরুর আগে মাইকে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষকদের আরেকটি অংশ ‘আওয়ামী লীগের দোসরারা, হুঁশিয়ার সাবধান’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তারা অধ্যক্ষ শেখ কাওছারের ওপর চড়াও হন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, ‘গত চার দিন ধরে আমরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। তবে কোনো সুরাহা না হওয়ায় আজ সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আমরা যেন কর্মসূচি পালন করতে না পারি, সে জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামলার পর অধ্যক্ষ শেখ কাওছারকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। লং মার্চ হবে কি না, তা এখন বলা যাচ্ছে না। কর্মসূচি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’

এর আগে গত রোববার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ঘেরাও করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

তখন শিক্ষকরা দাবি করে বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে হবে। সকল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে হবে। এছাড়া আর্থিক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সকল বৈষম্য ঘুচিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিও তাদের। দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ৫৭% বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। শিক্ষাব্যবস্থার বড় দায়িত্ব পালন করে কেন এতো বৈষম্য।

উল্লেখ্য, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও বাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা ২২ দিন ধরে আন্দোলন করেন শিক্ষকরা। পরে গত মার্চের শুরুতে তাদের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ