একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলেন ফয়সাল আলম

ফায়সাল আলম
ফায়সাল আলম  © সংগৃহীত

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বনামধন্য মোট ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফয়সাল আলম। বাংলাদেশে তাদের বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেও তিনি (২০২৭ শিক্ষাবর্ষ) হার্ভার্ডেই ভর্তি হবেন। সেখানে তার মেজর সাবজেক্ট নিউরোসায়েন্স।

ফয়সালের চাচাতো ভাই জাহেদুল হাসান প্রান্ত এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫টি আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়। সে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফয়সাল চান্স পেয়েছেন সেগুলা হলো- হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, কর্নেল ইইউনিভার্সিটি,  ব্রাউন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ পেনিসালভেনিয়া ও ডিউক ইউনিভার্সিটি।

ফয়সাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের টরিংটনে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার বাবা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বাসিন্দা। তার বাবা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

আমেরিকার স্কুলগুলোতে আন্ডারগ্রেজুয়েট ফান্ড অনেককিছুর উপর নির্ভর করে। শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের বার্ষিক আয় ভালো হলে, স্টুডেন্ট অনেক মেধাবী হলেও ব্যাচেলরের জন্য টাকা দিতে হয়। আর স্টুডেন্ট মেধাবী হলে, বাবা-মায়ের আয় কম হলে অনেক টাকা ফান্ড পাওয়া যায়। এছাড়া স্টডেন্টরাও স্টুডেন্ট লোন নিয়ে আন্ডারগ্রেড করতে পারেন, যেটা চাকরি করে পরিশোদের সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: বিশ্বখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক পেলেন মাস্টারমাইন্ডের রাইয়ান 

জন্মসূত্রে ফয়সাল আমেরিকান হলেও বাংলাদেশকে তিনি অনেক বেশি পছন্দ করেন। তিনি বাংলায় সাবলীল এবং একজন বাংলাদেশী আমেরিকান হিসেবে সর্বদা গর্বিত। এমনকি ৬ মাস আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন। ফয়সালের চাচাতো জাহেদুল হাসান প্রান্ত তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

প্রান্ত বলেন, তার পুরো নাম ফয়সাল আলম কাল্প। ফয়সাল শুধু এই ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, মূলত সে গোটা যুক্তরাষ্ট্রের ১২টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তিনি এই বছর কানেকটিকাটের টরিংটন হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করবেন।

ফয়সালের এমন কৃতিত্বে সামাজিকমাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। সায়েদা খুরশিদা বেগম নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, আমি ভেবেছিলাম তিনি বাংলাদেশ থেকে সুযোগ পেয়েছেন। যাইহোক, এটি একটি আনন্দদায়ক খবর। আমার এক নিকটাত্মীয়ও ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে তার স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। সবার জন্য শুভ কামনা।


সর্বশেষ সংবাদ