শিবিরের টিএসসির প্রদর্শনী কি বাংলাদেশের মানচিত্রের আদলে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক ছাত্রশিবিরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক ছাত্রশিবিরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী  © সম্পাদিত

ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার উদ্যোগে টিএসসিতে তিন দিনব্যাপী চলমান কর্মসূচির শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট)। প্রথমদিনে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিদের ছবি প্রদর্শনী নিয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর তোপের মুখে পড়ে তারা। প্রদর্শনীর আরও একটি বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা তৈরি করেছে।

জানা গেছে, ফ্যাসিবাদের পতনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে টিএসসি এলাকায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী করা হচ্ছে। এর আঙিনা তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্রের আদলে। তবে বিষয়টি অনেকে নিচ থেকে বুঝতে পারেননি। ওপর থেকে ড্রোন চিত্র দেখে অনেকে মানচিত্রের বিষয়টি বুঝতে পেরে ফেসবুকে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন।

ড্রোন দিয়ে তোলা পুরো প্রদর্শনীর একটি ছবি শেয়ার করে হোসাইন আহমেদ জোবায়ের নামে একজন লিখেছেন, ‘এ যে আমাদের মানচিত্র! নীচে বারবার হেঁটেও খেয়াল করতে পারিনি।’ আবিদ হাসান মন্তব্য করেছেন, ‘ড্রোন শট ছাড়া বোঝার কোন উপায় নাই। সাইমুমের টাও সেইম।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আনিছুর রহমান জুয়েল পোস্ট করেছেন, ‘টিএসসিতে শিবিরের আয়োজনের ভেন্যু। এই মানচিত্র তো আগে খেয়ালই করিনি। ইন্টারেস্টিংলি বেশ ক্রিয়েটিভ লাগছে ব্যাপারটা।’ অনেকে অবশ্য এর সমালোচনাও করেছেন।

আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত জুলাইয়ের বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী চলছে। পাশাপাশি আলোচনা সভাসহ নানা ধরনের আয়োজন চলছে। কর্মসূচি দেখতে টিএসসিতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। প্রদর্শনীতে  জুলাই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও কুইনের ক্লাস করা হলো না একটিতেও

‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক আয়োজনে প্রথমে প্রদর্শিত হয়েছিল মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, আলী আহসান মুজাহিদ, মীর কাশেম আলী, কামারুজ্জামান এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি। 

বামপন্থী বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এতে আপত্তি জানায়। তাদের বিক্ষোভের মুখে এগুলো অপসারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে সেখানে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত বক্তব্য, যুদ্ধাপরাধ বিচারের ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’, জিওফ্রে রবার্টসন ও সুরঞ্জন বালির মন্তব্য এবং ভুয়া স্বাক্ষীদের জবানবন্দি সংবলিত পোস্টার টানিয়ে দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!