টিএসসিতে দ্বিতীয় দিনেও চলছে ছাত্রশিবিরের প্রদর্শনী

টিএসসিতে ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শীর্ষক ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের প্রদর্শনী
টিএসসিতে ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শীর্ষক ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের প্রদর্শনী  © টিডিসি

ফ্যাসিবাদের পতনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার উদ্যোগে টিএসসিতে তিনদিনব্যাপী চলমান কর্মসূচির প্রথমদিনে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিদের ছবি প্রদর্শনী নিয়ে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর বাধার পর‌ও দ্বিতীয়দিনেও দর্শনার্থী কমেনি।

বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে টিএসসিতে ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শীর্ষক ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে এ দৃশ্য দেখা যায়। 

সরেজমিনে দেখা যায় দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে ছিল সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত জুলাইয়ের বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। সকাল ১০টায় ‘জুলাই অভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের এক বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’, বিকেল ৩ টায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ ও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক আলোচনা সভা। এসময় কর্মসূচি দেখতে সারাদিনব্যাপী ভিড় করেন দর্শনার্থীরা । 

আব্দুর রহমান নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘শিবিরের এসব কর্মসূচি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থেকে ভিন্ন হয়। গতকালের কর্মসূচিতে এসেছিলাম। আজ‌ও এসেছি। তারা জুলাই অভ্যুত্থান ফ্যাসিস্ট হাসিনার অত্যাচারের চিত্র সুন্দরভাবে প্রদর্শনীতে তুলে ধরেছে।’

এদিকে গতকাল ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক আয়োজনে প্রথমে প্রদর্শিত হয়েছিল মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, আলী আহসান মুজাহিদ, মীর কাশেম আলী, কামারুজ্জামান এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি। সেটাকে কেন্দ্র করে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো আপত্তি জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর তীব্র বিক্ষোভের মুখে এগুলো অপসারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

আজ সেই এক‌ই দেয়ালে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির আবার যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত বক্তব্য, যুদ্ধাপরাধ বিচারের ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’, জিওফ্রে রবার্টসন ও সুরঞ্জন বালির মন্তব্য এবং ভুয়া স্বাক্ষীদের জবানবন্দি সংবলিত বিভিন্ন পোস্টার টানিয়ে দেয়।


সর্বশেষ সংবাদ