অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, নতুন যত নিয়ম

অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পেতে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষার্থীদের
অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পেতে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষার্থীদের  © সংগৃহীত

চলতি বছরই অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ফের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এবার প্রতিযোগিতামূলক বৃত্তি পরীক্ষায় সব শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে না। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাত্র ২৫ শতাংশ এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে বলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার। 

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, অষ্টম শ্রেণির জন্য বৃত্তি পরীক্ষার বিষয়ে গত বুধবার নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ পরীক্ষায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ২৫ শতাংশ অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এ সংখ্যা নির্ধারিত করা হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরও বলেন, আগামী সোমবার বৃত্তি পরীক্ষায় নিয়ম এবং সময়সূচি নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সে বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে ফি দিতে হবে ৬০০ টাকা। এর মধ্যে বোর্ড ফি ৪০০ টাকা এবং কেন্দ্র ফি ২০০ টাকা। গত বুধবার এ পরীক্ষাসংক্রান্ত নীতিমালাও জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা (ট্যালেন্টপুল) ও কোটাভিত্তিক (সাধারণ) বৃত্তি দেওয়া হবে। সব ধরনের বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। তবে নির্ধারিত কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দিয়ে এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দিয়ে পূরণ করা যাবে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি দেওয়া হবে উপজেলা বা থানাভিত্তিক।

আরও পড়ুন: আলোচনায় এইচএসসির ফল প্রকাশের ‘ভুয়া’ তারিখ—বোর্ড বলল, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি

নীতিমালা অনুযায়ী পাঁচ বিষয়ের ওপর হবে এই বৃত্তি পরীক্ষা। এ বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। এরমধ্যে বাংলা, ইংরেজি, গণিতের প্রতিটি বিষয়ের নম্বর হবে ১০০ করে। আর বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা একসঙ্গে হলেও প্রতিটির নম্বর হবে ৫০ করে। এদিকে শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে ফি দিতে হবে ৬০০ টাকা। এর মধ্যে বোর্ড ফি ৪০০ টাকা এবং কেন্দ্র ফি ২০০ টাকা। গত বুধবার এই পরীক্ষাসংক্রান্ত নীতিমালাও জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র গ্রহণের মাধ্যমে অন্য বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে থাকে, তাহলে তাকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাক্রম বিবেচনা করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, এমন শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোনো প্রকার অভিযোগ পাওয়া গেলে ও অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার প্রার্থিতা বা ফল বাতিল করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ