সেফটি বাসে তিতুমীর কলেজের চার শিক্ষার্থীকে মারধর

দু’পাশে মো. সাজ্জাদ হোসেন আরিফ ও মো. শাহিন। মাঝখানে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন  নায়েক নূর মুহাম্মাদ সুমন ও মো. মিরাজ মিয়া
দু’পাশে মো. সাজ্জাদ হোসেন আরিফ ও মো. শাহিন। মাঝখানে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন নায়েক নূর মুহাম্মাদ সুমন ও মো. মিরাজ মিয়া  © টিডিসি ফটো

সেফটি পরিবহন নামে এক বাসে মারধরের শিকার হয়েছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের চার শিক্ষার্থী। হাফ ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জেরে তাদের মারধর করা হয় বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা বাসচালক ও সহকারীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. শাহিন, নায়েক নূর মুহাম্মাদ সুমন, মো. মিরাজ মিয়া ও মো. সাজ্জাদ হোসেন আরিফ। প্রথম দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মিরাজ মিয়া বলেন, বাঙলা কলেজে পরীক্ষা শেষে আমরা মিরপুর-গুলিস্তান রুটের সেফটি পরিবহনের একটি বাসে শেওড়াপাড়া থেকে আগারগাঁওয়ে যাওয়ার জন্য উঠি।

তিনি বলেন, পরে আগাওগাঁয়ে বাসটির চেকারকে হাফ ভাড়া কাটতে বললে তা নিয়ে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। হাফ ভাড়া রাখার কথা বললে একপর্যায়ে বাস থামিয়ে কয়েকটি বাসের চালক-সহকারীরা মিলে আমাদের বেধড়ক মারধর করে। পরে আমরা শাহিন ও সুমনকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

আহত নূর সুমন বলেন, ‌আগারগাঁওয়ে বাস থামলে চেকারকে হাফ ভাড়া রাখতে বলি। তিনি হাফ ভাড়া নিতে রাজি না হলে আমরা বলি হাফ ভাড়ার বেশি দেবো না। এসময় তাৎক্ষণিক কয়েকজন বাসে উঠে বলেন কে কে স্টুডেন্ট। এই বলেই গায়ে হাত তোলেন। আমরা বাধা দিলে তারা লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করতে থাকেন।

কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তবে ঘটনাস্থলে আসার আগেই তারা সেখান থেকে চলে যায়। আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ