ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ শেষ, ৩ দাবি জানিয়ে সড়ক ছাড়ল শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অবস্থান
রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অবস্থান  © টিডিসি ফটো

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার রোডম্যাপ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সড়ক ছেড়েছেন তারা।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল থেকে ২ ঘন্টা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি শেষে তিনদফা দাবি জানিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি শেষে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়ক ইসমাইল হোসেন সম্রাট দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ারও রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

২. সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশ) এর পরিকল্পনা নিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

৩. প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়ে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ এবং হল খুলে সব পরীক্ষা নিতে হবে।

এছাড়া এসব দাবি অনতিবিলম্বে মেনে না নিলে আগামী রবিবার (৬ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আখতারুজ্জামান স্যারকে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলেও জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বন্ধের ১৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা কলেজ প্রশাসন থেকে কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। বরং কোনো পরিকল্পনা ছাড়া একের পর এক তারিখ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রকার দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

তারা বলেন, অনলাইন ক্লাস চালু রাখা হয়েছে যেখানে আর্থিক সংকট ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি। যার ফলে অনেক শিক্ষার্থীই শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়েছে। অথচ যেখানে অফিস-আদালত খোলা রাখা হয়েছে সেখানে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখাটা অযৌক্তিক।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী হাবিব বলেন, হল না খুলে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অমানবিক। কেননা অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী হলে থেকে সামান্য টিউশনি অথবা ছোটখাটো পার্টটাইম চাকরির করে নিজের পড়াশুনার খরচ নিজে বহন করে। এমন অবস্থায় করোনাকালীন সময়ে এমনিতেই সবার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। তার মাঝেও যদি হলে থাকা বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় থেকে পরীক্ষা দিতে হয় তবে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ