বেরোবি শিক্ষক সমিতি সভাপতি-সম্পাদকের বক্তব্যের প্রতিবাদ একাংশের
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:০৬ PM , আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:১৩ PM
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সংসদের ১১জন সদস্যকে নিয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অসত্য তথ্য প্রদান করায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন সমিতির পনের সদস্যের মধ্যে ১১জন সদস্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানান তারা।
প্রতিবাদপত্রের শিরোনামটি উপাচার্য কেন্দ্রিক হলেও এর দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে অত্যন্ত সু-কৌশলে বেরোবি শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সংসদের ১৫জন সদস্যের মধ্যে ১১ সদস্যকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তারা মনে করেন, বেরোবি শিক্ষক সমিতির সংবিধান বলতে কিছুই নেই। মূলত একটি ‘গঠনতন্ত্র’ অনুযায়ী সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। কার্যকরী সংসদের সভা আহবান করে তাতে কোরাম সংকট দেখা দেওয়ায় সভা অনুষ্ঠিত না হলে ‘গঠনতন্ত্র’ অনুযায়ী পর পর তিনটি সভা আহবান করার নিয়ম রয়েছে। এরপরের সেই সভাগুলোতেও কোরাম সংকট দেখা দিলে সাধারণ সভা আহবান করার কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু কার্যকরী সংসদের সভায় কোরাম পূরণ না হলে গঠনতন্ত্রের নিয়ম না মেনে সরাসরি সাধারণ সভা আহবান করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছেন এবং সাধারণ সদস্যদের সাথে প্রতারণা করেছেন।
দেখুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছেন ভিসি কলিমউল্লাহ: শিক্ষক সমিতি
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করে বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে সমিতির নব-নির্বাচিত কার্যকরী সংসদের কোন সভা আহবান করা হয়নি। যে সভার বিষয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনগড়া তথ্য দিয়েছেন সেটি মূলত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। সুতরাং বুঝায় যাচ্ছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কার্যকরী সংসদের প্রায় সকল সদস্যদের নামে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিথ্যাচার করেছেন।
সর্বোপরি সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের একক সিদ্ধান্তে করা গত বুধবারের করা প্রতিবাদপত্রে কার্যকরী সংসদের ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ১১ জন সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সংসদের ১১ জন সদস্য।