জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিরোধিতাকারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

ড. শেলীনা নাসরীন ও মেহেদী হাসান
ড. শেলীনা নাসরীন ও মেহেদী হাসান  © ফাইল ছবি

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিরোধিতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকৃত দুই শিক্ষক হচ্ছেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন এবং ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক দুই অফিস আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়। 

অফিস আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লব সময়কালীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিপ্লব বিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে এই কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে গত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৭১তম (সাধারণ) সভার ১২৩নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিন্ডিকেটের তারিখ থেকে আপনাদেরকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন আপনাকে জীবন-ধারণ ভাতা প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত হওয়ায় গত ১৫ মার্চ জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন। আল হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি করা হয়েছিল। 

পরে প্রত্যক্ষদর্শী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ, বিভিন্ন তথ্যচিত্র, ভিডিও এবং পত্রিকার খবরের ভিত্তিতে এসব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানবিরোধী কার্যকলাপের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। প্রতিবেদন দাখিলের পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সর্বশেষ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সভায় ১৯ শিক্ষক ও ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ইবি প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ