ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২২ PM
হিন্দুত্ববাদী চক্র কর্তৃক মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট, গাজীপুরে আশামনি ধর্ষণ, খতিব মুহিব্বুল্লাহ হাফিঃ কে অপহরণ, চট্টগ্রামে আলিফ হত্যাসহ ইসকনের সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুম্মা ইবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একইস্থানে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব আশরাফ উদ্দিন খান আজহারী, শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, ইসলামী ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুফ আলী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবির সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত সহ কয়েকশো শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা 'নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার'; 'জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই'; 'ইসলামের শত্রুরা, হুশিয়ার সাবধান'; 'ইসকনের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও'; 'ইসকনের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না'; 'ইসকনের ঠিকানা, এই জমিনে হবে না'; 'দে দে দে কবর দে, ইসকনের কবর দে'; 'ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী' ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইদানীং ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে মুসলিম পরিচয় দিয়ে মুসলমান নারীদের প্রেমের ফাদে ফেলে সম্ভ্রম লুটে নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনাকে বিকৃত যৌনতা বলে ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, এটি নির্দিষ্ট এজেন্ডার অংশ। এই রেপিস্টকে সাধারণ রেপিস্ট বলার সুযোগ নেই কারণ তারা এগুলো একটা নির্দিষ্ট আর্দশ থেকে করছে। আমরা যদি বুয়েটের শ্রীশান্ত রায়ের বিষয়টা খেয়াল করি, তার ক্লাসমেটকে ধর্ষণ, নারীদের হ্যারাসমেন্ট কিংবা মুসলিম নারীদের পোশাক,হিজাব নিয়ে পারভার্টনেস দেখিয়েছে। সে অন্য কোনো ধর্মের নারীদের কথা বলেনি। অতএব সে একজন সাম্প্রদায়িক রেপিস্ট। আমাদের এই দেশকে ভালোবেসে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য যাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেই বুয়েটে বসে কিভাবে শ্রীশান্ত রায় আমাদের মুসলিমদের নিয়ে বিকৃত মন্তব্য করার সাহস দেখায়।
তারা আরো বলেন, যখন শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে বুয়েটে আন্দোলন হলো তখন মাঝরাতে শিরোনাম হলো রাতে উত্তাল বুয়েট, দাবির মুখে এক শিক্ষার্থীকে সামরিক বহিষ্কার। এদিকে ১৪ বছরের কিশোরীকে ৭ দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে, পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে, হিন্দু পুরোহিত দ্বারা ১২ বছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, এরপর ১৩ বছরের এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং সেই ধর্ষকের টিকটক একাউন্ট ঘেঁটে সেখানে মুসলিম নারীদের নিয়ে বিকৃত চিন্তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এত গুলো ঘটনাকে আপনি কখনোই সাধারণ ধর্ষণের ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করতে পারেন না। তারা এই ধর্ষণ গুলো করছে এক বিশেষ আইডিওলজির জায়গা থেকে। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই আপনারা এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী তৈরির কারখানা খুঁজে বের করুন এবং তাদেরকে এই বাংলার জমিন থেকে, এই মুসলিমদের বঙ্গ থেকে উৎখাত করুন। যেকোন মূল্যে এই সন্ত্রাসী ইস্কনকে বাংলার জমিন থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে।