ছুটি ছাড়া বিদেশে অবস্থান, ইবি অধ্যাপককে চাকরিচ্যুত
- ইবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫২ PM , আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৪ PM
অনুমতি ছাড়া এক বছরের বেশি সময় বিভাগে অনুপস্থিত থাকায় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলামকে চাকরিচ্যুত করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসন। গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত ২৭০তম সিন্ডিকেট সভার ২৪ নম্বর সিদ্ধান্তের আলোকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপন ও রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকেন। এ বিষয়ে একই বছর ৯ ডিসেম্বর শিক্ষা ছুটি-সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির ১৯৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে এক মাসের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি যোগদান করেনি। তা ছাড়া বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে চলতি ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৬৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অপরাধের মাত্রা নির্ধারণপূর্বক শান্তির ধরন উল্লেখ করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশের আলোকে সর্বশেষ ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৩(য) ধারা অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪(১) (২) ধারা অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে ড. জহুরুলকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক জহুরুল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ডেকোটায় ইন্সট্রাকশনাল ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে এমএস ডিগ্রিতে ভর্তি আছেন। সেখান থেকে তিনি গত ২২ জানুয়ারি ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নিয়মবহির্ভূতভাবে তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ছুটির আবেদন করলেও মঞ্জুর করা হয়নি এবং তাকে না জানিয়েই বেতন বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে দেশের বাইরে থাকায় অধ্যাপক জহুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাকে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। তবে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘শিক্ষা ছুটি কোন অধিকার নয়, এটা সুবিধা। শিক্ষকদের এই সুবিধা প্রদান করা হয় শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ৫ বছরের সবেতনে শিক্ষা ছুটির সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু আমার মাত্র ১ বছর ছুটি ভোগ যেন বিশাল অন্যায় হয়ে গেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত ছিল বিদেশে উচ্চশিক্ষাকে উৎসাহিত করা। আমার বেতন বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আমার পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’