বেরোবির গবেষণায় বরাদ্দ পাওয়া অর্থে নয়ছয় সাবেক ভিসি কলিমউল্লাহর

নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ  © সংগৃহীত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কালিমুল্লাহর বিরুদ্ধে গবেষণা খাতে বরাদ্দ পাওয়া তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপাচার্য থাকাকালীন সময় এই টাকা উত্তোলন করলেও, এখন পর্যন্ত সেই অর্থের কোনো ব্যয় বিবরণী বা হিসাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেননি তিনি।

জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি প্রতিনিধি দল বেরোবিতে পরিদর্শনে গেলে, তারা এ অর্থসংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখে। ইউজিসির পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ড. কালিমউল্লাহর উত্তোলিত অর্থের কোনো হিসাবপত্র নেই। এ অবস্থায় ইউজিসি কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত এই অর্থের সঠিক সমন্বয় করার নির্দেশনা দেয়। অন্যথায়, সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করার কথা জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গবেষণার নামে এই অর্থ উত্তোলন করেন ড. কালিমুল্লাহ। তবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও, অর্থ ব্যবহারের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন বা প্রমাণপত্র পেশ করা হয়নি। ফলে বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল। বর্তমানে ইউজিসির তৎপরতায় এ ধরনের অনিয়ম নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই তিনি অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। আর এ অনিয়ম দুর্নীতে তাকে সহায়তা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক। সম্প্রতি উপাচার্য কলিমউল্লাহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে দুদকের মামলায় কারাগারে থাকলেও তার সহযোগীরা এখনো ক্যাম্পাসে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথাও বলছেন না। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাইসুল বারি বলেন, একজন উপাচার্যের কাছ থেকে এ ধরনের আর্থিক অনিয়ম অনাকাঙ্ক্ষিত। উপাচার্য কলিমউল্লাহর দুর্নীতি দিনের আলোর মতো দৃশ্যমান হলেও হলেও কেউ কোন কথা বলেনি। দীর্ঘদিন তিনি অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে বিচারের আওতায় আসেননি। তবে, বর্তমানে তিনি এসম অপকর্মের অভিযোগ কারাগারে থাকলেও তার সহযোগীরা রয়েছেন ধোরাছোঁয়ার বাইড়ে। কলিমউল্লাহসহ তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনোর দাবি জানাই।

দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কালিমউল্লাহ বর্তমানে কারাগারে থাকায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার ড. হারুনুর রশিদ বলেন, জুন মাসের পরে ইউজিসি থেকে এই অনিয়মটি এসেছে। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!