ঢাকা আলিয়ায় পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শেষ হলেও আবর্জনামুক্ত হয়নি আঙিনা
- আরিফুল ইসলাম, ঢাকা আলিয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ AM , আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৪ AM

রাজধানীর সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় পরিছন্নতা সপ্তাহ। এর উদ্বোধন করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. আশরাফুল কবীর। এর আগে ২২ জানুয়ারি অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত নোটিশে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ৩০ জানুয়ারি এ উদ্যোগের সময় শেষও হয়েছে। তবে আবর্জনামুক্ত হয়নি ক্যাম্পাস। অনেক স্থান আগের অবস্থায়ই থেকে গেছে।
মুফতি আমিমুল ইহসান (রহ.) হলের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কাজ শেষ হয়েছে। তবে হলের চারপাশের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়নি। হলে থাকা আলিমের শিক্ষার্থী রেদওয়ান মাহি বলেন, ‘আমাদের হলের পিছনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো কাজই করা হয়নি। পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শেষ, কিন্তু ময়লা-আবর্জনা তো আগের মতোই রয়ে গেল। আমরা পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহের কোনো সুফল পাচ্ছি না।’
এ অভিযানের নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন সংলগ্ন এলাকা, আল্লামা কাশগরী (রহ.) হল, মুফতি আমিমুল ইহসান (রহ.) হল ও মাদ্রাসার মাঠে ২৫ হতে ৩০ জানুয়ারি পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ পালন করা হবে। একদিন বিলম্ব করে ২৬ জানুয়ারি এ কার্যক্রম শুরু হয়। এতে মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
জানা গেছে, আল্লামা কাশগরী (রহ.) হলের গেট দিয়ে ঢোকার পথে টয়লেটের দুর্গন্ধ রয়ে গেছে। এখনও মেরামত করা হয়নি বাথরুমের লিকেজ পাইপ। এতে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হলে অবস্থানরত ছাত্রদের। তারা একাধিকবার হল প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো ফল পাননি। অথচ কথা ছিল, পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
আল্লামা কাশগরী (রহ.) হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট আব্দুর রহিম বলেন, আমি দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে ও সিটি কর্পোরেশনে সাথে আমার এ বিষয় কথা হয়েছে। আমি আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যেই আমরা কাজ শুরু করতে পারব। আর হলের আঙিনায় যে ময়লা-আবর্জনা আছে, তা চলমান ফাজিল (স্নাতক)পরীক্ষার জন্য পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। এ সপ্তাহের ভেতরেই সময় নিয়ে পরিষ্কার করা হবে।
আরো পড়ুন: পোষ্য কোটা নিয়ে বসছেন জাবির শিক্ষক-কর্মকর্তারা, গণঅনশন স্থগিত শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে ক্যাম্পাস ও হল প্রশাসনের। এমন নোংরা পরিবেশ থেকে রোগজীবাণুসহ ডেঙ্গু হওয়ার শঙ্কা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। তাই সুস্থ পরিবেশে থেকে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে চান হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. আশরাফুল কবীরের কাছে পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা অতি দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করব। আমাদের ফাজিল পরীক্ষা চলমান থাকায় একটু বিলম্ব হচ্ছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই আমরা পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করব।’