চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হলো গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বৈঠক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ PM , আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ PM
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি থাকবে কি না তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। নানা বিশৃঙ্খলার কারণে চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতি ভর্তিতে অংশ নিতে চায় না অনেক বিশ্ববিদ্যালয়।
ইতোমধ্যে একক ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে প্রথম গুচ্ছের (সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-জিএসটি গুচ্ছ) নেতৃত্ব দেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ও গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যেতে চায়।
এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে গুচ্ছ থাকবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। এরই প্রেক্ষিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিশেষ আলোচনা করতে সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালগুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে বিশেষ আলোচনায় বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে দুই ঘণ্টার এই বৈঠকে গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাণ ও মৎস্য খাতে যেতে পারছেন না প্রায় ৩০০০ বাংলাদেশি
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক উপাচার্যই গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার কথা বলেছেন। তারা গুচ্ছভুক্ত পরীক্ষায় সমস্যাগুলোর কথা তুলে ধরেছেন। এ জন্য আগামী গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তারা আরও বলেন, সরকার চলতি বছর গুচ্ছভুক্তভাবে পরীক্ষা নিতে আগ্রহী। কারণ দেশের চলমান এই পরিবেশে গুচ্ছ থেকে বের আলাদাভাবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। তাই সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে ইউজিসি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সিরাজ উদ-দৌলা খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বৈঠকে গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তির বিষয়ে বিভিন্ন সুবিধা-েঅসুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের মতামত গ্রহণ করা হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।