ইবিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ PM , আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উপলক্ষে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালিত হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, ইউট্যাবের সদস্যরা দিবসটি উপলক্ষে শহীদ মিনার ও জিয়াউর রহমানের স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্ট্যাডিজ অনুষদের সামনে থেকে র্যালি শুরু করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার সহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সমবেত হয়।
র্যালিতে তাদের জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো; ছি : ছি : হাসিনা, লজ্জায় বাঁচিনা; ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই; আজকের এই দিনে জিয়া তোমায় মনে পড়ে; জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এটিএম মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আলীনুর রহমান, অধ্যাপক ড. নুরুন্নাহার, অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. গফুর গাজী, শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন সহ অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ১৮ বছরের যে রক্তের ইতিহাসের উপর দিয়ে আমরা আসলাম, সেটা মাথায় রেখে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের কেমন যেন একটি পরাজিত শক্তির মতো, মাথানত করে চলাফেরা করতে হয়েছে। উপস্থিত শহিদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদের বলতে চাই, এখন সুসময় এসেছে, অনেক মাছি আসবে। আমাদের এখন কোয়ান্টিটির দরকার নেই, কোয়ালিটির দরকার। জাতীয়তাবাদী আদর্শের নাম ধরে কেও যেন বিশৃঙ্খলতা করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ব্রিগেডের খালেদরা উল্লাসের মাধ্যমে শহীদ জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় আনতে চায়নি। তাদের বড় পরিকল্পনা ছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে অনেকেরই মদদ ছিল কিন্তু তার রুখে দিয়েছিল তৎকালীন সিপাহি জনতা। আমাদের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে, বুজতে হবে। নইলে আমরা যতই বলি যে জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে চলবো, তা সম্ভব হবে না। দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্যই জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। একই কাজটি আবারও করা হয়েছে গত ১৮ বছর ধরে। আমরা মনে করি ২৪ এর অভ্যুত্থান আমাদের তৃতীয় স্বাধীনতা কেননা দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছিল ৭৫ এর ৭ নভেম্বরে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে।