ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করায় বেরোবিতে আনন্দমিছিল
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৫ AM , আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৫ AM
শেখ হাসিনা ভারতে, ছাত্রলীগ গর্তে স্লোগানে মুখরিত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাস। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে বেরোবিতে আনন্দ মিছিলের সময় এসব স্লোগান দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা আরও বলেন, এই মুহূর্তে খবর এলো ছাত্রলীগ মারা গেল, খুনি হাসিনা ভারতের ছাত্রলীগ গর্তে, হই হই রই রই ছাত্রলীগ গেল কই, আই ছাত্রলীগ দেখে যা রাজপথে তোর বাপেরা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের কথা জানানো হয়েছে। এ খবর শুনে রাত পৌনে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আনন্দ মিছিল শুরু করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আনন্দ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহ প্রদক্ষিণ করে আবার প্রধান ফটোকে এসে শেষ হয়।
এদিকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংগঠনটি।
এর আগে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করিয়া বিগত ১৫ বৎসরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এই সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হইয়াছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হইয়াছে।
এতে আরও বলা হয়, যেহেতু ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ হইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে এবং যেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।