জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে: উপাচার্য
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৬ AM , আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৮ AM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। যে কাজে শিক্ষার্থীরা সহায়ক হবে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজিত শীতকল্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জবি উপাচার্য বলেন, আজকে যেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আছে, একসময় এখানে ব্রাহ্মসমাজ তৈরি হয়েছিল। তারপরে স্কুল, কলেজ এবং সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে বের হলে আমরা দেখতে পাই চার্চ। আরেকটু গেলে মন্দির।
তিনি বলেন, আমাদের যে সংস্কৃতি চারপাশে আছে তা দেখে আমি বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মন কখনো সংকীর্ণ হতে পারে না। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আমাকে বলেছে পুরান ঢাকায় ২২০০ পুরনো বাড়ি আছে। তারা বলেছে ‘আপা আপনি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ খুলেন এখানে’। আমি সেটাও চিন্তা করেছি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা একটি অসম্প্রদায়িক সমাজ-সংস্কৃতি তৈরি করবে। যেখানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার থাকবে। আমি প্রতিদিন সকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একটি সুসংবাদ শুনতে চাই, অন্তত মাসে একবার হলেও হোক সেটা।
আরও পড়ুন: জৌলুস হারাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো
অনুষ্ঠানে উদীচীর যাত্রা নিয়ে উপাচার্য বলেন, এই শিল্পীগোষ্ঠীর যাত্রা অনেক কঠিন। তারা ১৯৯০ সালে বোমা হামলা শিকার হয়। আমরা জানি সেই মামলা আজও নিষ্পত্তি হয়নি। সেখানে প্রায় ১০ জন কর্মী নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, বারবারই উদীচীর উপর আক্রমণ আসে। কারা আক্রমণ করে সে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ তাদের থেকে আমাদেরকে দূরে থাকতে হবে। আমাদেরকে বুঝতে হবে, এ বাংলাদেশ কিন্তু পাকিস্তান নয়। সেটা আমরা ৫২ বছর আগে ফয়সালা করেছি। সেই ফয়সালা শক্তি নিয়ে কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জবি সংসদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।