জবির গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সভায় কী ঘটেছিল?
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৪১ AM , আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০৫ PM
সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থাকবে, কি থাকবে না- এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ৬৫তম এ বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়। এ সভায় গুচ্ছের পক্ষে কথা বলায় এক অধ্যাপককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
সভায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদের সভা চলাকালীন উত্তেজিত হয়ে দাঁড়িয়ে সামনের টেবিলে দু’হাত দিয়ে জোরে চাপড় দেন। এরপর বলেন, গুচ্ছে কেন থাকব না? এর কারণ লিখিত আকারে দেয়া হোক। এ সময় সভার প্রায় সব শিক্ষক জোরে হট্টগোল শুরু করে দেন। এরপর কিছু সিনিয়র অধ্যাপক আব্দুল কাদেরকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। তারা জোর করে চেয়ারে বসিয়ে দেন। অভিযোগ উঠেছে মারধর করাও।
এ বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সবার সম্মতি নিয়েই গুচ্ছে এসেছিলাম। কিন্তু এখন আমরা কোন কোন কারণগুলা দেখিয়ে গুচ্ছ থেকে বের হবো, তা লিখিতভাবে সভার রেজুলেশনে যুক্ত করতে বলেছিলাম। গুচ্ছ থেকে বের হলাম- শুধু এটুকু লিখলেই তো বের হওয়া যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এসব কথা বলার সময় সংসদের মতো টেবিলে চাপড় দিলে কিছু শিক্ষক আমার দিকে তেড়ে আসে। একপর্যায়ে তারা আমাকে শারিরীকভাবেও হেনস্তা করে।’
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকদের মতামতের প্রেক্ষিতেই গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেখানে অধ্যাপক আব্দুল কাদের গুচ্ছের পক্ষ নিয়ে সব সিনিয়র শিক্ষকের সামনে টেবিল চাপড়িয়ে খুবই উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তখন কয়েকজন শিক্ষক তাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এর বাইরে কিছু হয়নি।’
সভা সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে উপাচার্যকে আহবায়ক, রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব ওট্রেজারারসহ বাকি ৬ ডিনকে সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া তিন ইউনিটের পরীক্ষার জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষার জন্য মানববন্ধন শেষে উপাচার্যের কক্ষ ঘেরাও করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতিসহ শিক্ষকরা।
সভার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, যা ঘটেছে, শিক্ষকদের কাছ থেকে তা কাম্য নয়। সভায় একজন সদস্যেরে পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলার অধিকার আছে। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এমন একটা ঘটনা ঘটবে, কাম্য ছিল না। এ জন্য তিনি লজ্জিত ও মর্মাহত বলে জানিয়েছেন।