রমজানে ইফতারের বিশেষ প্যাকেজ জবির, পাওয়া যাবে ৫০ টাকায়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়া
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়া  © টিডিসি ফটো

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মাসব্যাপী আট প্রকারের ইফতার সামগ্রী সমন্বিত বিশেষ ইফতার প্যাকেজ বিক্রি করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়া। এ প্যাকেজ পাওয়া যাবে ৫০ টাকায়। তবে গতবছর সেহরি খাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও এবার সেটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো. মাসুদবলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে আমরা গতবারের ন্যায় এবারেও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে স্বল্পমূল্যের মানসম্মত ইফতারের ব্যবস্থা রেখেছি। ৫০ টাকার এই প্যাকেজে মোট আটটি ইফতারের ভিন্ন ভিন্ন সামগ্রী রয়েছে। এরমধ্যে একটি আলুর চপ, একটি বেগুণী, একটি পিয়াজু, দুটি খেজুর, এক প্যাকেট মুড়ি, এক বাটি ছোলা, এক গ্লাস শরবত এবং প্রতিদিন আলাদা রকমের ফল থাকবে একটি করে।

তিনি বলেন, প্রথম রোজা থেকেই ইফতারের ব্যবস্থা থাকবে৷ শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এই আয়োজন। এই আয়োজন থাকবে মাসব্যাপী।

এই উদ্যোগতে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাসেল জানান, এই প্যাকেজে আমরা যারা আশপাশে মেসে থাকি তাদের জন্য সুবিধা হবে। দেখা যায় বাইরে এই দামে খেতে পারার সামর্থ্য আমাদের অনেকের হয়তো নেই। তাই এমন সিদ্ধান্তে আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি।

শাহাবুদ্দিন আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, রমজান মাসে রাস্তা ঘাটে ইফতার আইটেমের অভাব হয়না। কিন্তু আইটেম গুলো আলাদা আলাদা কিনতে হয়, তাতে বেশি খরচ পড়ে, একসাথে সব আইটেম থাকায় বেশ ভালই হয়েছে।

আরও পড়ুন: হত্যাচেষ্টার অভিযোগে জাবি ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মী বহিষ্কার।

আসিফ খান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে সব কিছুর দাম বেশি। ৫০ টাকায় আইটেম মোটামুটি ঠিক আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে-পাশে যারা থাকে, তারা একসাথে ক্যান্টিনে বসে ইফতার করতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, গতবারে ৪৫ টাকায় ইফতারের প্যাকেজটি ছিল। এইবার পাঁচ টাকা দাম বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। যেহেতু সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমি এই দাম নির্ধারণ করেছি যেন তাদেরও কিছু টাকা থাকে আবার শিক্ষার্থীদেরও কিছু টাকা সাশ্রয় হয়।

তিনি আরও বলেন, অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্যে গতবছর দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও, এই বছর এখনও দুপুরে খাবারের বিষয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ গতবছর মাঝামাঝি সময়ে আমি তাদেরকে অনুরোধ করে খাবারের ব্যবস্থা করলেও শিক্ষার্থী কম থাকায় এই বছর তারা তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলে আমি অবশ্যই দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য চেষ্টা করব।

প্রসঙ্গত, গত বছর ইফতারের ব্যবস্থার পাশাপাশি ক্যাফেটেরিয়ায় সেহরি খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। সেই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের ভালো সাড়া পাওয়া যায়।


সর্বশেষ সংবাদ