গ্রেড কমানোর বিষয়ে পে কমিশনের চেয়ারম্যান কী বলেছেন, জানালেন কর্মচারী নেতা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪ AM , আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪ AM
পে স্কেল নিয়ে গঠিত পে কমিশনের কাছে গ্রেড কমানোর দাবি জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনসহ অংশীজনরা। এরইমধ্যে সুপারিশ দাখিল ও নতুন বেতন কাঠামো কার্যকরের বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির।
এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেছে বলে জানান বাদিউল কবির। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান বলেছেন, আপনাদের জীবনমানের যে ধরন, একটা কঠিন সময় আপনারা পার করছেন, এ বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করছি। আশা করছি আপনারা খুশি হবে, আপনাদের সন্তুষ্ট রেখেই আমরা একটা কিছু আপনাদের উপহার দিতে পারব।’
বাদিউল কবিরের ভাষ্য, ‘গ্রেড কমানোর বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেছেন, এর মধ্যে কিছু জটিল বিষয় রয়েছে। তদুপরি আমরা চেষ্টা করব, আমাদের লেভেলে গ্রেড সংখ্যা কমানোর। কমিশন এ বিষয়ে কোনও ত্রুটি করবে না। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করবেন।’
বুধবার (২৬ নভেম্ব) দুপুরে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব কথা বলেছেন বাদিউল কবির। তিনি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ প্রণয়ন ও গ্রেড ভেঙে ন্যুনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকা করার দাবি পুনরব্যক্ত করেছেন। কমিশন থেকে এসব বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন বলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে এ নেতা।
তিনি বলেন, আমাদের বেশ ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। বেতন গ্রেড কমিয়ে আনা, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ জমা এবং ১৫ ডিসেম্বরের আগেই অর্থমন্ত্রণালয় থেকে যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে পে স্কেলের গ্যাজেট অর্থাৎ নবম জাতীয় বেতন স্কেলের ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সুপারিশ জমার বিষয়ে বাদিউল কবির বলেন, কমিশনের চেয়ারম্যান তো ব্যক্তিগতভাবে উনার মতামত ব্যক্ত করতে পারেন না। কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের মতামত নিয়েই যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সে অনুযায়ী চেয়ারম্যান আমাদের কাছে যে অভিমত বা কার্যক্রমের অগ্রগতির কথা ব্যক্ত করেছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট।
আরও পড়ুন: আন্দোলনকারীদের দখলে এনটিআরসিএ ভবন, লাঞ্ছনা আতঙ্কে বাইরে ঘুরছেন কর্মকর্তারা
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা আপনাদের দাবিটা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই একটা রিপোর্ট পেশ করতে পারি।’
এ নেতা জানান, ‘পে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, গত ১১ বছর এবং সামনের পাঁচ বছরের মুল্যস্ফ্রিতি, বৈশ্বিক পরিস্থিতি, দেশের আর্থিক তারল্য সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হয়। সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে, গবেষণা করে আমরা চাচ্ছি, আপনাদের চাহিত সময়ের মধ্যেই আমরা রিপোর্ট দাখিল করব। যদি এর বাইরে সময়ের প্রয়োজন দেখা দেয় বা প্রয়োজনীয়তা আমরা উপলব্ধি করি, তখন হয়তোবা দুই এক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। এই যৌক্তিক সময়টা আপনারা কনসিডার করবেন।’
সার্বিকভাবে কমিশনের এমন চিন্তা কর্মচারীদের জন্য বড় সুসংবাদ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ নভেম্বরের মধ্যেই পে কমিশনের সুপারিশ জমার বিষয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন কর্মচারীরা। বিভিন্ন সংগঠনের পরও কমিশনের কোন প্রতিবেদন জমা না দেয়া এবং মিডিয়াতেও কমিশনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে তথ্য না জানানোয় কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছিল।