বিইউবিটিতে ‘চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনে ইসলামের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার

মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)-তে ‘ছাত্র ও যুবসমাজের সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ উন্নয়ন এবং চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনে ইসলামের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত সেমিনারটি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। পরে হামদ ও নাত পরিবেশন করা হয়।

সেমিনারের প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি সেমিনারের মূল বিষয় ‘ছাত্র ও যুবসমাজের সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ উন্নয়ন এবং চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনে ইসলামের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা করেন। 

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘ইসলাম নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং যুবসমাজের উন্নত চরিত্র গঠনে ধর্মীয় শিক্ষার অপরিহার্যতা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসলাম শুধু আধ্যাত্মিকতা শেখায় না, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজের সর্বস্তরে নৈতিকতার বিকাশ ঘটায়।’

তিনি বলেন, ‘আজকের বিশ্বে যুবসমাজ নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। প্রযুক্তির অপব্যবহার, নৈতিক অবক্ষয় এবং বিভিন্ন প্রলোভন তাদের সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারে। তাই ইসলামের শিক্ষাকে সঠিকভাবে বোঝা এবং তা অনুসরণ করা জরুরি।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টের সম্মানিত সদস্য ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি এবং ইসলামি সেমিনার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর মিঞা লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন বিইউবিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম শওকত আলী। তিনি বলেন, ‘বিইউবিটি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার ওপরও গুরুত্ব দেয়, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিইউবিটির রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, ‘নৈতিক শিক্ষার চর্চা ও ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।’

এছাড়াও সেমিনারে বিইউবিটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ